হবিগঞ্জ শহরে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার প্রতিবাদে প্রধান সড়কে অবরোধ ও মানববন্ধন

আজ হবিগঞ্জ শহরে দুপুর বেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান সড়কে অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসীরা। এদিকে ‘হবিগঞ্জবাসীরা’ ব্যানার, ফেস্টুন হাতে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সে সময় নগরীর প্রধান সড়কে অন্তত্য ৪০ মিনিট ধরে রাস্তার যান চলাচল বন্ধ থাকে।

রাস্তায় অবরোধ ও মানববন্ধন দেখে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হবিগঞ্জ শহরে লাগাতার লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে আজ বেলা ১টার দিকে শহরের মূল সড়কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

হবিগঞ্জ শহরে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার প্রতিবাদে প্রধান সড়কে অবরোধ ও মানববন্ধন

এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবী মানুওষ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচি চলতে থাকলে হঠাৎ করেই নগরীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সড়কের ২ পাশে শত শত যানবাহনের জ্যামের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে সেখানকার বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন অন্তত্ ১৫-১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামের জনগণ আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। তবে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। এ ছাড়াও হবিগঞ্জে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। তাহলে হবিগঞ্জ জেলার মানুষ কেন চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পায় না।

অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো: মাসুদা খান এছাড়াও জেলা বাসদ সমন্বয়কারী মো: সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অবরোধ ও মানববন্ধনের সময় হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সড়ক অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান ঘটনাস্থলে যান। তিনি এসেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, প্রতিদিন হবিগঞ্জ শহরে অন্তত্য ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তারা সেখানে প্রতিদিন মাত্র ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এটা দিয়ে বিদ্যুতের সব চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তিনি হবিগঞ্জ বাসীকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানান।

তারপর পুলিশ সহ বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা শহরের প্রধান সড়ক থেকে সরে আসেন। পরে বেলা দেড়টার সময় জেলা শহরের যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে যায়।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish