রাতে ঘুমানোর আগে আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত না করার জন্য সঠিক খাবারগুলি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত নাও হতে পারে।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রাতে ঘুমানোর আগে যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা সে বিষয় নিয়ে।
মসলাযুক্ত খাবার:
মসলাযুক্ত খাবার বদহজম এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা রাতে ঘুমানোর সময় কঠিন করে তুলতে পারে। রাতে মরিচ, গরম সস এবং তরকারির মতো মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
চর্বিযুক্ত খাবার:
চর্বিযুক্ত খাবারগুলি হজম হতে বেশি সময় নেয়, যা অস্বস্তি, ফোলাভাব এবং বদহজম হতে পারে। রাতে চর্বিযুক্ত খাবার যেমন ভাজা খাবার, পিৎজা এবং বার্গার এড়িয়ে চলুন।
ক্যাফেইন:
ক্যাফেইন হল একটি উত্তেজক যা আপনাকে রাতে ঘুমানোর সময় জাগিয়ে রাখতে পারে। রাতে কফি, চা, সোডা এবং চকোলেটের মতো ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন।
অ্যালকোহল:
অ্যালকোহল আপনাকে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করতে পারে, এটি আপনার ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং রাতে ঘন ঘন জেগে উঠাতে পারে। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘন্টা আগে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
চিনিযুক্ত খাবার:
যেসব খাবারে শর্করা বেশি থাকে সেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যা ক্র্যাশ হতে পারে এবং আপনাকে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে পারে। রাতে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিছরি, কুকিজ এবং আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন।
ভারী খাবার:
রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খেলে বদহজম, অস্বস্তি এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে। পরিবর্তে, একটি হালকা খাবার বেছে নিন যা আপনার ওজন কমাতে দেবে না।
উচ্চমানের প্রোটিনযুক্ত খাবার:
যদিও প্রোটিন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে শোবার আগে স্টেক বা মুরগির মতো উচ্চ-প্রোটিন খাবার খাওয়া হজম করা কঠিন হতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি এবং বদহজম হয়।
অ্যাসিডিক খাবার:
সাইট্রাস ফল, টমেটো এবং ভিনেগারের মতো অ্যাসিডিক খাবার অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স সৃষ্টি করতে পারে, যা ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং অস্বস্তির এর জন্য কারণ হতে পারে।
পানি:
হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ, শোবার আগে অত্যধিক পানি পান করা বাথরুমে ঘন ঘন হতে পারে এবং আপনার ঘুম ব্যাহত করতে পারে।
সবশেষে, আপনার ঘুমের ব্যাঘাত এড়াতে এবং আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত না করার জন্য রাতে খাওয়ার জন্য সঠিক খাবারগুলি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। হালকা, সহজে হজমযোগ্য খাবার বেছে নিন এবং মশলাদার, চর্বিযুক্ত, ক্যাফিনযুক্ত, চিনিযুক্ত এবং অ্যাসিডিক খাবারের পাশাপাশি অ্যালকোহল এবং উচ্চ-প্রোটিন খাবার এড়িয়ে চলুন।
সূত্র:- Right News BD