নীল জলে ভ্রমণ করি সেন্ট মার্টিনে

খোলা আকাশ দেখতে পুরোটাই নীল। চোখ যত দূরে যায়, ঠিক তত দূরে নীল জলে ভ্রমণ করারও অনেক আনন্দের হয়ে ওঠে । কোন রং কি নেই পৃথিবীতে শুধুমাত্র নীল রং ছাড়া।

নীল রং যদি গায়ে মাখা হয়, সে জন্য আপনাকে যেতে হবে সাধু মার্টিন দ্বীপে। নীল রং এর সাথে খুজে পাবেন প্রবাল। যে সময় সূর্য্য অস্ত যায় ঠিক তখনেই আকাশের পশ্চিম দিকে হয়ে ওঠে রক্তিম আলোর ঝলকানী। সেই রক্তিম আলোর ঝলকানীতে চলে আসে জোছনা পুরো পৃথিবীতে। জোছনাকে ভালোবাসার জন্য হুমায়ূন আহমেদ ছুটে আসতেন এখানে। আদর্শ জায়গায় জ্যোৎস্নার কৃত্রিম আলোর দূষণ নেই সেন্ট মার্টিনে। 

নীল জলে যেভাবে যাবেন ভ্রমণে

যেভাবে যাবেন নীল জলের ভ্রমণে – সেন্ট মার্টিন

কক্সবাজারে নীল জলে ভ্রমণ করতে হলে আকাশপথেও যেতে পারেন। এখানে আসার জন্য এসি বা ননএসি বাসের ভাড়া ৯০০ (নয় শত) টাকা থেকে ২ (দুই হাজার) ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে নীল জলের উপর দিয়ে ভ্রমণ করতে হলে সেখানে ইউএস-বাংলা নভোএয়ারে আকাশপথে যেতে পারবেন।

সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে প্রত্যেক দিন এমভি কর্ণফুলী এবং এমভি বারো আউলিয়া নামে দুটি জাহাজ চলাচল করে। সকাল ৬টায় নীল জলে ভ্রমণ করে এসব জাহাজগুলো, কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটির ঘাটে নুনিয়াচড়া থেকে ছাড়ে। এখানে টিকিট মূল্য ২৮ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বে ওয়ান নামে একটি জাহাজ প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিনে যাত্রা করে।

জাহাজটি সেন্ট মার্টিনে যাত্রার সময় রাত ১১টায় ছাড়ে এবং পরের দিন সকাল ৮টায় পৌঁছে। এখানে ১ লাখ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত টিকিট হয়ে থাকে। জাহাজটির নিজস্ব অফিস এবং ঢাকায় থাকা এজেন্ট অফিসের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায়।

থাকার জায়গা

সেন্ট মার্টিন নীল জলে ভ্রমণ করতে কক্সবাজার থেকে পৌঁছতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লাগে। এখানে সমস্ত পর্যটকদের থাকার জায়গা অনেক উন্নত এবং বেশ সুবিধাজনক। এখানে সূর্যাস্ত দেখার জন্য রিসোর্টে বসে বিচের সৌন্দর্য দেখার অন্যতম কারণ। এ রকম রিসোর্ট সেন্ট মার্টিনে অনেকগুলো রয়েছে।

সে সব সমূদ্র বিলাস, মার্টিন টিউলিপ বিচ রিসোর্ট, সূর্যস্নান বিচ রিসোর্ট, ব্লু মেরিন রিসোর্ট, শান্তিনিকেতন রিসোর্ট সহ আরো অনেক কয়েটি। এখানে থাকার জন্য ২০০ শত টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার, ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগে।

কি খাবেন

অনেক প্রকার সামুদ্রিক মাছের জন্য সেন্ট মার্টিন বিখ্যাত। নীল জলে ভ্রমণ করার পর এখানে বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছ খেতে পারবেন, বিরিয়ানি খাওয়ার থেকে।

কি খাবেন

সেন্ট মার্টিনে যে সমস্ত মাছ খুব কম দামে পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে কালো চাঁদা, রূপচাঁদা, সুন্দরী, কোরাল সহ অনেক প্রকার চিংড়ী মাছ পাওয়া যায়।

বিভিন্ন রকম সামুদ্রিক মাছের ভাজা খেতে পারেন।

বারবিকিউ খেতে হলে কালো চাঁদা মাছের বারবিকিউ খেতে পারেন এটি খেতে অনেক সুস্বাদু।

এখানে এগুলো মাছ কেনার ইচ্ছে হলে দেখেশুনে ভালো মাছ কিনতে হবে। মাছ কেনার আগে সঠিকভাবে দাম করে নিবেন।

এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পর্যটক হিসেবে গেলে বেশি দাম নিতে পারে।

সতর্কতা

সব সময় চেষ্টা করবেন প্লাস্টিকের পণ্য এবং পলিথিন কম ব্যবহার করতে। এসব পলিথিন এবং প্লাস্টিকের পন্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলবেন কিন্তু কোনভাবেই সমুদ্রে ফেলবেন না।

সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি

en_USEnglish