স্টিভ স্মিথ আশা করছেন তাকে আর বেশি বল করতে হবে না

স্টিভ স্মিথ লর্ডসে অ্যাশেজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে বল করছেন। অফ-স্পিনার নাথান লিয়নের চোট গুরুতর হওয়ার কারণে বল নিয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে তাকে। তবে এমনটা হবে না বলে খুব আশাবাদী তিনি। কারণটা হচ্ছে স্টিভ স্মিথ দীর্ঘদিন ধরে বোলিং করা নিয়ে কোনো কাজই করেননি।

স্টিভ স্মিথ আশা করছেন তাকে আর বেশি বল করতে হবে না

স্টিভ স্মিথ: অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অল রাউন্ডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও দলের জন্য বর্তমান সময়ে স্মিথ ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন। ২০১৫ সালে ১৬ জুলাই থেকে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় টেস্ট ব্যাটিংয়ে ৯৩৬ রেটিংয়ে ১০ম স্থানে পৌঁছেন তিনি। স্মিথ বেশ কয়েকবার টেস্ট ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে গেছেন। স্মিথ অল রাউন্ডার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডেতে অধিনায়ক ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ স্পিন বোলিংও করেন স্টিভ স্মিথ।

গতকাল বৃহস্পতিবার নাথান লায়ন ফিল্ডিংয়ের সময় পেশিতে টান পড়ায় মাঠ ছেড়েছেন। তার মুখে ব্যথার ছাপ স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। এরফলে দারুণ বিপদে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের বোলিং আক্রমণে স্পিনারই একমাত্র বিশেষজ্ঞ ছিল। বাকিরা সবাই পেসার- মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড এবং প্যাট কামিন্স । অনিয়মিত স্পিনারদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে সফরকারীদের। লায়ন রান আউট হওয়ার পর ট্র্যাভিস হেড ৫ ওভার সুইং করেন। আর দিনের শেষ ওভারে বোলিং করতে দেখা গেছে স্মিথকে।

দিনের প্রথম সেশনে প্রাক্তন অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াকে ছাড়িয়ে স্মিথ তার ৩২তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন। পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার পাশাপাশি বোলিংয়েও অবদান রাখতে হবে তাকে। এছাড়াও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে লেগ স্পিনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলেছেন। তবে তিনি পুরোপুরি ব্যাটসম্যানে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে বল হাতে নিয়ে নিয়মিত হননি।

৩৪ বছর বয়সী স্মিথ দিনের খেলা শেষে তার বোলিং ভাবনা নিয়ে মিডিয়াকে বলেন, ‘আশা করি, আমাকে আর বেশি বল করতে হবে না। আমি অনেক দিন ধরে আর বোলিং নিয়ে কোন কাজ করছি না। আমার মতে, হেড ভালো বল করছে। যদি লায়ন না থাকে তাহলে স্পিন বিভাগে প্রধান ভূমিকা পালন করা উচিত তাকে। তা ছাড়া, মারনাস (লাবুশেন) এবং আমি বিরতিতে বোলিং করতে আসতে পারি।’

লায়ন  প্রথম স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবে টানা ১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলায় ইনজুরিতে পড়েন। তার আঘাতের তীব্রতা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কিন্তু স্মিথের কণ্ঠে উদ্বেগ ছিল যে, লায়নকে দেখতে ভালো লাগেনি। বাকি ম্যাচের জন্য তার অবস্থা খুব একটা ভালো দেখা যাচ্ছে না। তার অবস্থা কী তা এখনো নিশ্চিত নই, তবে যদি সে ভালো বোধ না করে, তাহলে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে।’

দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার পর কোনো দলেরই এগিয়ে থাকার কোনো সুস্পষ্ট পথ নেই। অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে ২৭৮ রান করে। ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৩৮ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে তারা। লায়ন এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে অজিদের জয়ের ভূমিকা ছিল। দুই ইনিংসে ৮টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া ৫ দিনে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অধিনায়ক কামিন্সের সাথে অসাধারণ এক ম্যাচ জয়ী জুটি তৈরি করেন তিনি।

সুত্র:- Right News BD

bn_BDBengali