সম্প্রতি সময়ে রমজান মাস কেন্দ্র করেও বাজারে আগুন লেগেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহ দাম বেড়েছে শাকসবজি মাছ-মাংসেরও। এদিকে রমজান মাস উপলক্ষে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় নেমেছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা নিয়ে।
আর বাজারে আগুন লাগায় থমকে গিয়েছে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তরা। তারা চাইলেই বাজারের সবথেকে ভালো জিনিসটা কিনতে পারে না। বিশেষ করে দুধের কথা না বললেই নয় ১ লিটার দুধ বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
তবে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অনেক ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমিয়েছেন। এমনই একজন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে খামারি এরশাদ উদ্দিন তার খামার থেকে সংগৃহীত দুধের পুরোটা তিনি মাত্র ১০ টাকা লিটার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন পুরো রমজান মাসজুড়ে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের দেশ মুসলিম দেশ, সেহেতু রমজান মাসে আমাদের দেশে দ্রব্য মূল্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিৎ।
রমজান মাস আসলেই দেখা যায় বাজারে অনেক দ্রব্যের মূল্যে বৃদ্ধি হয়, যেহেতু মুসলমানরা রোজা রাখেন আল্লাহ মহিমা লাভের জন্য। সেটাকে লক্ষ্য করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও এরশাদ উদ্দিন ১০ টাকা কেজি দরে স্বল্প মূল্যে দুধ বিক্রি করছেন। আগামী দিনেও খামার থাকলে এবং খামারে দুধ যতই বৃদ্ধি পাবে সব দুধ রমজান মাসে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করতে থাকবেন।
এদিকে তার খামারে অনেক এলাকার তার খামারে অনেক নারী ও পুরুষ ১০ টাকা কেজি দরে দুধ নেয়ার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
এর মধ্যে আবার কেউ কেউ ১০ টাকায় আবার কেউ কেউ বিনামূল্যেও দুধ সংগ্রহ করেছেন সেখান থেকে। এরশাদ উদ্দিন বিগত ২ বছর ধরে দুধ বিক্রি করে আসছেন। যে কেউ রমজান মাসে তার খামার থেকে ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ১ কেজি দুধ কিনতে পারবেন।
প্রথম রোজার সকাল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চালু থাকবে এই সেবা। এছাড়াও এলাকার সপরিবারে যেন দুধ পায় এজন্য প্রত্যেক পরিবারকে একবারই দুধ দিচ্ছেন তার এই মহৎ উদ্যোগকে, এলাকায় বাসি প্রশংসা করেছে।
সূত্র:- Right News BD