আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা সহ গাজীপুর শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবি নিয়ে এমট্রানেট গ্রুপ লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে।
তাদের সঙ্গে পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরাও যোগ দেন। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিকও আন্দোলনে অংশ নেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেন।
শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার পর এমট্রানেট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা সুজন, লাকি, সফিউল্লাহ, সুমন, পিএম মো. রানা, রফিক, সুপারভাইজার মুসা, নিলুফা, শান্তা, পিএম ফরিদ এবং ওয়াহিদের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল ৩টার পর শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নামেন।
টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো আমরা কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।”
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর এর শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় মেঘনা গ্রুপের হাই ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকদের ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। তখন পার্শ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা হামলার শিকার হন। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
গাজীপুর শ্রমিকদের বিক্ষোভ কারখানায় ছুটি ঘোষণা
এদিকে, জেলার জয়দেবপুর থানার নতুন বাজার এলাকায় এসএম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। ছুটি ঘোষণার পর এসএম নিটওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা এ্যাপারেলস্-২১ লি. এবং গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে অবস্থান নিলে, ওই দুটি কারখানাও ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের নানা দাবি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। ফলে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে হয়। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে মিলিত হয়ে পুলিশ কাজ করছে।
সূত্র: Right News BD