ত্বকের সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে শীতের সময় আপনি সঙ্গী করতে পারেন এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায়, যা সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভেতর থেকে শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে।
এর জন্য অলিভ অয়েল ও মধু, দই ও মধুর প্যাক, শসা ও অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল, মধু ও হলুদের প্যাক, পানি পানে অভ্যাস, গ্লিসারিন ও গোলাপজল এবং বাদাম ও দুধের প্যাক ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে প্রাধান্য দিন।
কারণ, এসব প্রাকৃতিক উপাদান সবচেয়ে কার্যকরী উপায়ে সহজে এবং দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি রূপচর্চার এই উপাদানগুলো দ্রুত ত্বকে কাজ করতে শুরু করে।
এই পোষ্টে আপনাদের এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের ব্যবহার জানাব, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে আপনাকে আরও লাবণ্যময়ী করে তুলবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে শীতে শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
১. অলিভ অয়েল এবং মধু ( ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে)
অলিভ অয়েল ও মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। মধুতে আছে প্রাকৃতিক হিউমেক্টেন্ট, যা ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন, তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. দই ও মধুর প্যাক (শুষ্ক ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার)
দই প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, যা শুষ্ক কোষগুলো সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের ময়শ্চারাইজিং বৃদ্ধি করে।
এক টেবিল চামচ দই ও মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. শসা ও অ্যালোভেরা জেল (ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বল ফেরাতে সহায়ক)
শসার রস ও অ্যালোভেরা জেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। শসার ভেতরকার উপাদান ত্বককে ঠান্ডা রাখতে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
একটি শসা ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন ও তাতে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান, এরপর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪. নারকেল তেল (ত্বককে ময়শ্চারাইজড করে)
নারকেল তেল ত্বকে সহজেই মিশে যায় এবং ত্বককে ময়শ্চারাইজড রাখতে সহায়তা করে।
রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখলে সকালে ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল দেখাবে।
৫. মধু ও হলুদের প্যাক (ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করে)
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জুড়ি নেই ।
দুই চা চামচ মধুতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৬. পানি পানে অভ্যাস ( শুষ্ক ত্বককে আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক)
শীতকালে পানি কম পান করার কারণে শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত, যা ত্বককে আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
৭. গ্লিসারিন ও গোলাপজল ( ত্বকের আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য করে)
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে হলে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগালে এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
এক টেবিল চামচ গ্লিসারিনে দুই টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করুন।
৮. বাদাম ও দুধের প্যাক (ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে)
বাদাম ত্বকের জন্য দারুণ পুষ্টিকর এবং ময়শ্চারাইজিং উপাদান।
কয়েকটি বাদাম গুঁড়ো করে তাতে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিশেষ পরামর্শ
শীতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সাথে সাথে স্কিন কেয়ারের রুটিন মেনে চলা উচিত।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার, ধুলোময়লা থেকে ত্বক রক্ষা করা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়ক।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে শীতকালে আপনার শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে পাশাপাশি ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও কোমল।
সূত্র: Right News BD
3 thoughts on “শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার প্রাকৃতিক উপায়”
Comments are closed.