রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন কতটুকু দূরে রাখা উচিৎ

প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় আপনার স্মার্টফোন কখনোই আশেপাশে রাখবেন না। কারণ মোবাইলের রেডিয়েশন যে কত ক্ষতি করছে তা দেখলে বুঝতে পারবেন।

মোবাইল ফোনের Radiation বা তেজস্ক্রিয়া মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

নিয়মিত রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের চেয়ে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন মানব দেহে মারাত্মক ক্ষতি করে। রেডিয়েশনের কারণে মানব দেহে যেসকল সমস্যা দেখায় দেয়-

মোবাইল কানে নিয়ে কথা বললে রেডিয়েশন সরাসরি কানের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে সরাসরি মস্তিষ্কের সংযোগ হয়ে পড়ে। এতে করে ব্রেইন টিউমারের আশংকা থাকে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফোন হয়তো ব্রেন টিউমার, মাথা বা গলার টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

মোবাইলের রেডিয়েশন মানব দেহের ক্রোমোজোমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে খারাপ ধরনের টিউমার হতে পারে যা ক্যান্সারে রূপ ধারণ করে।এবং কি আমাদের যৌন সক্ষমতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে যেটা পুরুষদের হয়ে থাকে।

বিশেষ করে পুরুষরা প্যান্টের সামনের পকেটে বেশির ভাগেই মোবাইল রাখে। সে জন্য পুরুষদের সরাসরি যৌনাঙ্গ প্রভাব ফেলে এবং যৌন ক্ষমতার হ্রাস ঘটায়। মোবাইল রেডিয়েশন সবচেয়ে শিশুদের উপর বেশি বিস্তার লাভ করে।

মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা কী?-

তেজস্ক্রিয়তা হলো কোন কোন ভারী মৌলিক পদার্থের একটি গুণ যেগুলোর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরত আলফা,বিটা,গামা রশ্মি বিকরণ হয়।

সবচেয়ে বেশি আর কম বিকিরণ ছড়ানো মোবাইল ফোন

বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করেছেন, কোন ফোন থেকে কি মাত্রায় বিকিরণ ঘটছে? তারা একটি মাত্রাও নির্ধারণ করেছেন যে, একজন মানুষ তার শরীরে কতটা বিকিরণ গ্রহণ করতে পারে।

মোবাইল ফোনের কোম্পানি বা উৎপাদক ভেদে একেকটি ফোনের বিকিরণের মাত্রা কম বেশি হয়। ফোনের বক্সের কাগজপত্রে বা অনলাইনে এসব তথ্য থাকলেও, খুব কম গ্রাহকই সেগুলো পড়ে দেখেন।

নতুন আর পুরনো ফোন মিলিয়ে বিকিরণ ছড়ানোর মাত্রার একটি তালিকা করেছে জার্মানির ফেডারেল অফিস অপর রেডিয়েশন প্রোটেকশন।

এই তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিকিরণ ছড়ানো ফোনের তালিকায় রয়েছে ওয়ান প্লাস (One Plus) আর হুয়াওয়ে (Huawei)। এরপরেই রয়েছে নকিয়ার ৬৩০ (Nokia 630) ফোন।

আইফোন ৭ রয়েছে তালিকার ১০ নম্বরে, আইফোন ৮ রয়েছে তালিকার ১২ নম্বরে আর আইফোন ৭ প্লাস রয়েছে ১৫ নম্বরে। সনি এক্সপেরিয়া জেডএক্সওয়ান কমপ্যাক্ট রয়েছে তালিকার ১১ নম্বরে, জেডটিই অ্যাক্সন ৭ মিনি রয়েছে ১৩ নম্বরে আর ব্লাকবেরি ডিটিইকে৬০ রয়েছে ১৪ নম্বরে।

যদিও বৈশ্বিক ভাবে ফোনের বিকিরণের নির্দিষ্ট কোন মানদণ্ড নেই। তবে জার্মানিতে এজন্য মানদণ্ড হচ্ছে প্রতি কেজিতে ০.৬০ ওয়াট। তালিকায় থাকা সব ফোনেই বিকিরণের মাত্রা দ্বিগুণ। ওয়ান প্লাস ৫টিতে এই মাত্রা ১.৬৮ ওয়াট।

Space are available for Ads
Space are available for Ads

সবচেয়ে কম বিকিরণ ছড়ায় যেসব স্মার্টফোন

সনি এক্স পেরিয়া এম৫ (Sony Xperia M5)। এরপরেই রয়েছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট৮ (Samsung Galaxy Note 8), এস৬ এজ (S6 Edge), গুগল পিক্সেল এক্সএল (Google Pixel XL), স্যামসাং এস৮ (Samsung S8) আর এস৭এজ।

আপনার মোবাইল ফোনের বিকিরণ মাত্রা জানার জন্য ম্যানুয়াল পড়তে পারেন। 

কিভাবে স্মার্টফোনের বিকিরণ থেকে বাঁচা যায়

ফোনে অ্যান্টেনার কাছে সবচেয়ে বেশি বিকিরণ ছড়ায়। আধুনিক ফোনগুলোয় ফোনের ভেতরে পেছনে এই অ্যান্টেনা বসানো থাকে।

বেশিরভাগ সময়ে মানুষ ফোন ব্যবহারের সময় অ্যান্টেনা মাথার উল্টো দিকে থাকে। কিন্তু মাথার যতো কাছে এরই অ্যান্টেনা থাকে, ততই ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।

পরিশেষে:

ধারণা করা হয়, রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন কাছাকাছি রাখলে শরীরের কোষগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর দূরের কোষগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনটি দূরে রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

এতে করে আপনী বড় ধরণের ক্ষতির হাতে থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

সূত্র:- Right News BD

One thought on “রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন কতটুকু দূরে রাখা উচিৎ

Comments are closed.

bn_BDBengali