বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৩৫ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সের পর থেকে মেরুদণ্ডের হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভাবের কারণে হাড়ের ক্ষয় ঘটে।
মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ের কারণসমূহ:
- বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মেরুদণ্ডের হাড় এর প্রয়োজনীয় হরমোনের উৎপাদন কমে যাওয়া বা হরমোনগুলো সঠিকভাবে কাজ না করা।
- বাড়ন্ত বয়সে খেলাধুলা ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব, গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধদানকালে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, এবং মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পুষ্টিকর খাবার এর অভাবে পরবর্তী সময়ে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা, কিন্তু সেই অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণে খাবার গ্রহণ না করা।
- দীর্ঘমেয়াদে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তশূন্যতা, এবং নিয়মিত সূর্যের আলোতে না থাকা।
- অনেক বছর ধরে অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত ব্যায়াম, বা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
প্রতিকার:
- দেহের হাড় ক্ষয়ের প্রতিরোধ করতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেমন- শাকসবজি, মৌসুমি ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি খাবার।
- বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
- নিয়মিত হাঁটাচলা, বাসার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ, এবং সম্ভব হলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা উচিত।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।
- বাড়ন্ত বয়স, গর্ভাবস্থা, দুগ্ধদানকাল, মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বা বড় কোনো অপারেশনের পর যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
- মেরুদণ্ডের হাড় ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া অনুচিত।
- যাঁদের অতিমাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তাঁদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
সূত্র: Right News BD