মানুষের দেহে ডিএনএ চারটি নিউক্লিওটাইড দ্বারা গঠিত: অ্যাডেনিন-এ, থাইমিন-টি, সাইটোসিন-সি এবং গুয়ানিন-জি। মানুষের দেহে ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ডে সাজানো হয় যা একটি ডাবল হেলিক্স গঠনের জন্য পরস্পরের সাথে জড়িত।
প্রতিটি স্ট্র্যান্ড একটি নির্দিষ্ট দ্বারা চারটি নিউক্লিওটাইডের সমন্বয়ে গঠিত। এক স্ট্র্যান্ডের নিউক্লিওটাইডের নিদের্শে অন্য স্ট্র্যান্ডের নিউক্লিওটাইডের নিদের্শ পরিপূরক। এই পরিপূরক সম্পর্কে ডিএনএ জীবধারার জন্য অনুমতি দেয়।
মানবদেহে যে ডিএনএ রয়েছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি: মি:। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত মধ্যবর্ত্তি যে ফাকা অংশে ৫০ বারেরও বেশি যাওয়া আসা করলেও যে দূরত্ব অতিক্রম হবে, টিক তার সমান। আর ডিএনএ তে যে তথ্য আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ আয়তন বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান।
যেখানে প্রতিটি আয়তনের পৃষ্ঠা সংখ্যা হবে ৫০০। সে কারণে আমাদের দেহে স্বাস্থ্য গঠনে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন সমান এক লক্ষ কোটি)। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন (১ মিলিয়ন সমান দশ লক্ষ)। লৌহিত রক্ত কণিকা (আরবিসি) তে আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। তার মধ্যে মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন। দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭০০০ কি.মি. লম্বা।
তাহলে মনে মনে একটু চিন্তা করুন। এক হাত লম্বা একটা হেডফোন (অর্থাৎ ১৮ ইঞ্চি) স্বত্ন করে রেখে দিলেও বিভিন্ন ভাবেও জট পাকিয়ে যায়। কিন্তু মানবদেহের ৯৭০০০ কি:মি: ব্লাড ভেসেল কোনভাবেই কারো সাথে কখনোই জট পাকিয়ে যায় না।
উপরে তথ্য অনুযায়ী একটু চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন মানুষের দেহে একটি অংশতে অনেক কিছুর পারস্পারিক সম্পৃক্ত।
সূত্র:- Right News BD