বাড়ি পরিষ্কার করার সময় বস্তা বস্তা কয়েন খুজে পাওয়া গেল

স্বামী-স্ত্রী দু’জন মিলে একটি পুরনো বাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। বেসমেন্টে কাজ করতে করতে হঠাৎ চোখে পড়ে অনেকগুলো বস্তা। বস্তার মুখ খোলার সাথে তাদের চোখ কপালে। এগুলোতো আবর্জনা মনে হচ্ছে না, এগুলো মুদ্রার বস্তা। তারা এক এক করে সবগুলো বস্তা খুলে কয়েন পেল।

এই কয়েনগুলো নিয়ে এখন অনেকটা বিপাকে পড়েছেন এই দু’জন স্বামী-স্ত্রী। কারণ, বস্তায় মুদ্রার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে সেখানকার স্থানীয় ব্যাংক তা কোনভাবে নিতে চাইছিলনা। ব্যাংক থেকে বলা হয়, তারা এতগুলো কয়েন কোথায় রাখবে সেই জায়গা নেই তাদের ব্যাংকে।

বাড়ি পরিষ্কার করার সময় বস্তা বস্তা কয়েন খুজে পাওয়া গেল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন রেইস এবং তার স্ত্রীর সাথে এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে জনের শ্বশুর বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে। তাঁর শ্বশুর মৃত্যু বরণ করেছেন। জন এবং তার স্ত্রীসহ প্রায় ৯ মাস আগে তার বাড়ি পরিষ্কার করতে আসেন। এরপরই এই ঘটনা ঘটেছে।

জন এবং তাঁর স্ত্রীসহ বেসমেন্টে বেশ কয়েকটি বস্তা দেখতে পান। তিনি বস্তাটি খুলে দেখলেন তা তামার মুদ্রায় ভরা। গণনা করার পর দেখে, ১০,০০০ ডলার মূল্যের কয়েন রয়েছে। সেই প্রেক্ষিপ্তে জন বলেন, “শুরুতে, আমি কাগজে মোড়ানো কিছু মুদ্রা পেয়েছি।” পরে বস্তাগুলো তাঁর চোখে পড়ে। কয়েন ভর্তি বস্তাগুলো বেসমেন্টে ফেলে রাখা হয়েছিল। “মুদ্রা ভর্তি বস্তাগুলো খুঁজে পাওয়ার পর আমার হাত ও হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছিল,” জন বলেছেন।

পরে জন ও তার স্ত্রী একটি ট্রাকে করে কয়েন এর বস্তাগুলো নিয়ে স্থানীয় ব্যাংকে জমা দেন। এর জন্য তাঁদের সারাদিন লেগেছে। কিন্তু স্থানীয় সেই ব্যাংকে যাওয়ার পর সমস্যার সৃষ্টি হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলেছে, যে তাদের পক্ষে এই কয়েন জমা করা সম্ভব নয়। এদিকে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জন কে বলেছিলেন, ‘দয়া করে এই কয়েনগুলো ব্যাংকে আনবেন না। এগুলো রাখার জন্য আমাদের কোন রাখার জায়গা নেই।’

এ বিষয়ে জন বলেন, তার শ্বশুর বাড়িটি গত ১৯০০ সালে নির্মিত হয়েছিল। ওই বাড়িটির বেসমেন্টে যে মুদ্রাগুলো খুজে পাওয়া গেছে তা খাঁটি তামার তৈরি ছিল। এই মুদ্রাগুলি ১৯৪৩ সালের আগে কোনও এক সময় তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। সঙ্কট মোকাবেলায় মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন ধাতুতে এক সেন্ট কয়েন তৈরি করা শুরু করে। যদিও পরবর্তীকালে এই মুদ্রাগুলি শুধুমাত্র দস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

তাদের এই বিষয়ে পরে একজন ব্যাংকের কর্মকর্তা পরামর্শ দেওয়াতে জন ও তার স্ত্রী এই কয়েনগুলো অনলাইনে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা এগুলোর দাম রেখেছিলেন ২৫ হাজার ডলার। তারা যে কয়েনগুলো খুঁজে পেয়েছে তা বিক্রি করবে এবং পুরনো বাড়িটি মেরামত করার জন্য আশা করছে।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali