ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে সফল হওয়া যায়?

সফলতার জন্য অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন। আবার অনেকে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করলে হয়তো গাড়ি-বাড়ি আর কোটি কোটি টাকা ইনকাম করার বিষয়ে বোঝেন।

তারপরও একটু আপনার জানার দরকার কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে রোজগার ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

চলুন, একে একে জেনে নিই অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলো সম্পর্কে-

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

পছন্দের বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিন

আপনার পছন্দের বিষয়ে আপনি এমন ভাবে শিখে ফেলুন, যেন ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় ওই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্নই না থাকে। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তবে তা যেন প্রযুক্তির কল্যাণে নতুনভাবে তৈরি হয়, যা আগে ছিল না! তাই বেশি বেশি রিসার্চ করুন, এর বিকল্প নেই!

ক্লাইন্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ

ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে এমন কিছু কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো ক্লাইন্টের কাছে তুলে ধরতে পারেন। আপনি যেই কাজই করেন না কেন, আপনাকে সেই কাজের বিষয়ে দক্ষতা, প্রতিভা, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি যে কাজ জানেন তার জন্য আপনাকে একটি পোর্টফলিও ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে।

আপনার কাজ গুলো ঔ ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে। যাতে ক্লাইন্টের সাথে আপনার কাজের জন্য একটা রাস্তা তৈরি হয়ে যায়। ক্লাইন্টের মন চাইলে আপনার কাজ গুলো পোর্টফলিও থেকে দেখতে পারে।

Space are available for Ads
Space are available for Ads

কাজের চাহিদা বৃদ্ধি

আপনাকে প্রথমে অল্প টাকায় ক্লাইন্টের কাজ করে দেবার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কারণ আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার। প্রথমে অল্প দামে কাজ করে আপনার অবস্থান উন্নত করতে হবে।

বিশেষ করে আপনার কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি টাকার অংক বাড়িয়ে দিবেন। এতে কাজের আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

ইংরেজিতে দক্ষতা

আপনাকে ভালো ইংরেজি ভাষার দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি ইংরেজি ভালো না পারেন তাহালে আপনাকে ইংরেজি শিখতে হবে। কারণ ক্লাইন্টের সাথে আপনাকে কাজের বিড দেওয়ার পর ইংরেজিতে কথা বলতে হবে।

আপনার কথা যদি ক্লাইন্ট বুঝতে না পারে তাহালে তো ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে না। সুতরাং আপনাকে ইংরেজি দক্ষ হতে হবে।

মার্কেটপ্লেস এ কম মূল্যে বিডিং

আপনাকে কম মূল্য বা কম টাকার মধ্যে কাজের বিড দিতে হবে। একটি কাজের জন্য প্রচুর মানুষ বিড দিয়ে থাকে। ক্লাইন্ট সব সময় দেখে যে কম টাকার মধ্যে কে আমার কাজটা সুন্দর ভাবে করে দিতে পারবে।

ক্লাইন্ট তাকে সব সময় কাজ দিবে।তার জন্য আপনাকে কম টাকায় বিড দিতে হবে। এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা ৯০% থাকবে।

Space are available for Ads
Space are available for Ads

কম বেতনে বা স্বল্প অর্থের কাজ

আপনাকে ঘন্টা প্রতি ৫-৬ $ ডলার বেতনে কাজ করতে শুরু করতে হবে। এতে আপনার চাহিদা সব সময় সব ক্লাইন্টের কাছে বৃদ্বি পাবে। এর পর ধিরে ধিরে আপনার ঘন্টার সাথে টাকার পরিমান বাড়িয়ে দিবেন।

সুন্দর করে পোর্টফোলিও সাজানো

আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে হবে। আপনি কি কি কাজের বিষয়ে দক্ষ সেটা আপনার প্রোফাইলে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করতে হবে। এবং প্রোফাইলে আপনার পোর্টফলিও লিংক দিয়ে দিতে হবে।

আপনি সব সময় চেষ্ট করবেন যাতে প্রোফাইল ১০০% হয়ে যায়। প্রোফাইল ১০০% হলে আপনার প্রোফাইল টপে চলে যাবে।

কাজের প্রতি মনোযোগ

প্রথমে আপনাকে কাজ পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে, প্রচুর সময় দিতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে। কারন প্রথমে কাজ পাওয়া অনেক কষ্টকর।

সুতরাং আপনাকে সময়, ধের্য এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে।

ধৈর্যধারণ

মনে করেন আপনি কাজের বিড দিচ্ছেন কিন্ত কাজ পাচ্ছেন না। এতে আপনার ধৈর্য হারালে চলবে না। প্রায় সব নতুনদের সাথেই এমন টা হয়ে থাকে।

২০-২৫ দিন পরে প্রায় ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পেয়ে থাকে। আর আপনাকে সর্বদা চেষ্টা করতে হবে। সুন্দর ভাবে বিড দিতে হবে। যাতে ক্লাইন্ট আপনার লেখা গুলো পড়ে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী প্রকাশ করে।

কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা

আপনাকে অবশ্যায় কম্পিউটার এর সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। যেমন কিছু সফটওয়্যার রয়েছে এর মধ্যে মাইক্রেসফট অফিস এবং কিবোর্ড চালনায় দক্ষ থাকতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কিছু প্রোগ্রামিং টুলস সম্পর্কে জানতে হবে।

তাছাড়া ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার অনেকটা গতি আসবে পাশাপাশি সহজতর হবে।

লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করার অভ্যাস

ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার আগে লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে । তাহলে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে।

আপনি যদি লোকাল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট কে খুশি করতে না পারেন তবে কিভাবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টকে খুশি করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসবেন।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali