কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে গিয়ে আমি নিজে অনুভব করেছি, প্রতিদিন রসুন খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা কার্যকর হয়। তাই শীত আসলেই যেকোন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করা আমার জীবনে একটা বিশেষ জায়গা দখল করে নেয়।
এই সময় প্রতিদিন নতুন জায়গা দেখা, মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, আর প্রকৃতির সঙ্গে কিছু মুহূর্ত কাটানো আমার জীবনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। তবে ভ্রমণের সময় সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শরীরের সামান্য অসুস্থতা ভ্রমণের পুরো অভিজ্ঞতা নষ্ট করে দিতে পারে।
আমি প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খাওয়াi অভ্যাস গড়ে তুলেছি । এটা শুধু আমার শরীর সুস্থ রাখে না, ভ্রমণের আনন্দও বাড়িয়ে দেয়।
নিয়মিত রসুন খাওয়ার ৫টি উপকারিতা থেকে নিচে আমি আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি, যা কিনা ভ্রমণের সময় আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।
স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন রসুন খাওয়ার সুবিধা
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আমার প্রথম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি এলাকা ছিল। সেখানে ঠান্ডা পরিবেশে অনেকেই সর্দি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু আমি সুস্থ ছিলাম। এর পেছনে বড় কারণ ছিল রসুন খাওয়ার অভ্যাসের কারণে।
রসুনে থাকা অ্যালিসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ভ্রমণের সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন বা নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
উচ্চ শীতের স্থানে ভ্রমণের সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখা খুবই জরুরি। রসুন এই কাজে অসাধারণ।
আমি যখন সমুদ্র সৈকতের ঠান্ডা আবহাওয়া ঘুরছিলাম, তখন রসুন আমাকে অক্সিজেনের ঘাটতি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে। এর ফলে ক্লান্তি কম অনুভূত হয় এবং হাঁটার সময়ও বেশি এনার্জি এনে দেয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
নতুন জায়গায় ভ্রমণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খাবার খাওয়া। অনেক সময় হজম জনিত সমস্যা হয়। রসুন হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
গতবার যখন আমি কুয়াকাটা ভ্রমণে গিয়েছিলাম, সেখানে মশলাদার খাবার খেয়ে আমি একদম স্বাভাবিক ছিলাম।
রসুন হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এবং গ্যাস বা বদহজমের মতো সমস্যা এড়ায়।
বাড়তি এনার্জি ফেরায়
৫ থেকে ৭ দিনের ভ্রমণে অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আমি প্রতিদিন রসুন খেয়ে দেখেছি, এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ করে না, বরং বাড়তি এনার্জি দেয়।
ভ্রমণের সময় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরার সময় রসুন শরীরের বাড়তি শক্তি বৃদ্ধিতে সত্যিই কাজে লাগে।
ত্বকের যত্ন
যেকোন স্থানে ভ্রমণের সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে।
ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে এবং উজ্জ্বল রাখতে রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ বেশ কার্যকরী।
গ্রীষ্মকালীন সময়ে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষা পেতে আমি রসুনের অনেক গুণের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলাম।
ব্যক্তিগত পরামর্শ
আপনি যদি ভ্রমণপ্রেমী হন তাহলে, প্রতিদিন রসুন খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।
রসুন শুধু আপনাকে সুস্থ রাখবে না, বরং ভ্রমণে আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি আনন্দিত রাখবে।
বিশেষ করে রসুনের স্বাদ, গন্ধ যেকারোর পক্ষে বিরক্তিকর হতে পারে, তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এটি সহ্য করাই ভালো।
সুতরাং, ভ্রমণে বের হওয়ার আগে ব্যাগ গোছানোর সময় সকালের রুটিনে এক কোয়া রসুন যোগ করতে পারেন।
ভ্রমণে শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে এবং স্মৃতিশক্তিকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
সূত্র: Right News BD