যতই দিন যাচ্ছে মাথা থেকে চুল পড়েই যাচ্ছে, নতুন চুল গজানোর বদলে মাথার চুল আরো পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্যা অনেকেরই মুখে শোনা যাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে মাত্র ২টি বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১টি হচ্ছে চুল ঝরে পড়া রোধ করা আর ২ হচ্ছে নতুন চুল গজানো।
তাছাড়া আমরা কিন্তু মাথার চুল পড়া রোধ করা নিয়ে গুগলের বিভিন্ন ব্লগসাইটে এ বিষয়ে পোস্ট দেখে থাকি। সেই তুলনায় মাথায় নতুন চুল গজানো একটি ধীরে হতে পারে।
যদিও বা নতুন চুল দ্রুত গজানোর সঠিক কোনো উপায় নেই বললেও চলে। সেহেতু স্বাস্থ্যকর চুল পেতে হলে এখানে সহজ ৫টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে! যেগুলি অনুসরণ করলে আপনার মাথায় চুল বৃদ্ধির একমাত্র উপায় হতে পারে।
মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়সমূহ:

(১) সুষম খাদ্য:
নতুন চুল গজানোর জন্য সুষম খাদ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে আপনি নিশ্চিত করুন ভিটামিন এ, সি, ডি, এবং ই। এছাড়াও খনিজ পদার্থ যেমন (জিঙ্ক এবং আয়রন)-এর প্রোটিন নতুন চুল গজানোর জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
(২) নিয়মিত মাথার খুলি ম্যাসেজ:
নিয়মিতভাবে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করলে চুলের ফলিকলগুলিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে করবে। এর পাশাপাশি চুল ঘন কালো ও লম্বা হতে সহায়তা করবে। আপনি যদি প্রতিদিন কয়েক মিনিট আপনার মাথার ত্বকে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ভাবেভাবে ম্যাসেজ করতে পারেন, তাহলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে গিয়ে মাথায় স্বাস্থ্যকর চুল হতে সহায়তা করবে।
(৩) নতুন চুল গজানোর জন্য চুলের সঠিক যত্ন:
চুল বৃদ্ধি করতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন ক্ষতি রোধ করতে নিয়মিত আপনার চুল ঠিকঠাক যত্ন নিন। অতিরিক্ত হিট দিয়ে চুল স্টাইলিং, টাইট বা আটসাট হেয়ারস্টাইল এবং রাসায়নিক চিকিৎসা পদ্ধতি একেবারেই এড়িয়ে চলুন। একটি নরমাল শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। যাতে করে আপনার চুল মজবুত ও পুষ্ট করে এমন পণ্যগুলি ব্যবহার করার কথা চিন্তা করুন।
(৪) অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা):
অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশনের কারণে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা আপনার চুল এবং মাথার ত্বক ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি থাকবে। এর জন্য আপনাকে দিনে অন্তত্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজন হবে। এছাড়াও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় কিংবা অত্যধিক ক্যাফিন থাকে এমন ডিহাইড্রেটিং পানীয় গ্রহণ করার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলো পান করার ফলে আপনার মাথার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে।
(৫) মানসিক চাপ কমাতে:
দীর্ঘ দিনের মানসিক চাপের কারণেও চুল পড়া একমাত্র কারণ হতে পারে। ধ্যান, ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা আপনার পছন্দের সাথে যায় এমন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশলগুলি অনুশীলন করুন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও আপনার মাথার চুলের জন্য স্বাস্থ্যের উপর একধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি আপনার মাথার চুল পড়া বা পাতলা হওয়ার সমস্যায় পড়েন, তাহলে আপনি একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার সমস্যা অনুযায়ী তারা কোনো চিকিৎসা নিতে পরামর্শ প্রদান করতে পারে। সেই পরামর্শ অনুযায়ী আপনি আপনার চুলের বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা করতে পারেন, যেমন মিনোক্সিডিল (Minoxidil) বা ফিনাস্টারাইড (finasteride) হতে পারে।
এছাড়াও অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করার সময় ধৈর্যের বাধ হারিয়ে ফেললে চলবে না। বরং ভালো ফলাফল পেতে হলে কয়েক মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। এর কারণ হচ্ছে নতুন চুল গজানোর সমস্ত পদ্ধতি কারোর জন্য কাজ নাও করতে পারে এবং পৃথক ফলাফলের জন্য উপায়সমূহ পরিবর্তন হতে পারে।
সূত্র:- Right News BD