দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে প্রত্যেককেই শরীরের চর্বি কমানোর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। তাই প্রোটিনসমৃদ্ধ ও ফাইবারযুক্ত খাবার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য ৭টি চর্বি কমানো খাবারের নাম ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শরীরের চর্বি কমানো খাবারের নাম
গ্রিন টি
গ্রিন টি’তে থাকা ক্যাটেচিনস প্রাকৃতিকভাবে বিপাকক্রিয়া বাড়ার পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ার পাশাপাশি তাপ উৎপাদন প্রক্রিয়াও বাড়িয়ে তোলে।
শরীরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি গ্রিন টি জমে থাকা মেদ কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ডিম
পেশি গঠনে এবং চর্বি পোড়াতে ডিমের অ্যামিনো অ্যাসিড সহায়তা করে। ডিম খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি হয়।
শরীরের ওজন কমানোর জন্য সকালের নাশতায় ডিম খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী।
সবুজ শাকসবজি এবং ব্রকোলি
সবুজ শাকসবজিতে (ব্রকোলি, পালং শাক) ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি থাকে। ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং হজম ধীর করতে সাহায্য করে।
ব্রকোলি, পালং শাক শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং চর্বি জমা হওয়া প্রতিরোধ করে।
ওটস
ওটসের দ্রবণীয় ফাইবার খাওয়ার পর রক্তের শর্করা স্থিতিশীল রাখে। তাছাড়া ওটস ক্ষুধা হ্রাস করার পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ তৃপ্তি দেয়।
নিয়মিত ওটস খাওয়ার ফলে শরীরকে বেশি ফ্যাট বার্ন করতে এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
বাদাম (আমন্ড এবং আখরোট)
বাদামে স্বাস্থ্যকর ফাইবার, প্রোটিন এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এগুলো অতিরিক্ত ক্ষুধা দূর করার পাশাপাশি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ জমার ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে এবং আমন্ড ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চিয়া সিড
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসেবে চিয়া সিডে ৩৫ ফাইবার শতাংশ রয়েছে। এটি পানির সংস্পর্শে এসে ফুলে ওঠে তাই পেটের ক্ষুধা কমার পাশাপাশি পেট ভরা রাখে।
চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
দই (গ্রিক ইয়োগার্ট)
গ্রিক ইয়োগার্টে উচ্চমানের প্রোবায়োটিক প্রোটিন থাকে। তাছাড়া এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বিশেষভাবে গ্রিক ইয়োগার্ট পেটের মেদ কমাতে কার্যকর। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া খাবার থেকে পুষ্টি শোষণে করে।
এটি হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং চর্বি জমতে দেয় না।
চর্বি কমানো সেরা খাবার নিয়ে শেষ কিছু পরামর্শ
স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চিনি, প্রসেসড ফুড এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যোগ করার চেষ্টা করুন।
শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও ভালো কার্যকর করতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন।
সূত্র: Right News BD