গ্যালারিতে জয়ের স্লোগান, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচে

২০২৩ বিপিএল খেলার খবর আপডেট – গ্যালারিতে জয়ের স্লোগান, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচে মাঠভর্তি গোলাপি রঙ্গে হাজারো মানুষের ছোঁয়া। সিলেট স্ট্রাইকার্স ভক্তদের গ্যালারিতে জয়ের স্লোগান ভেসে আসছে, হাজারো সমর্থনের হৈ চৈ কিন্তু তারা অনুপ্রাণিত ছিল।

প্রথমেই সৌভাগ্য হোম এবং মেহেদী মারুফের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অর্জনে ভালো কিছু সংগ্রহ। এদিকে ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত আর একবার মনোযোগ দিলেন সিলেটের জন্য। এই ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি হওয়ার পর বিপিএল ম্যাচে রান তৈরির শীর্ষ স্থানে জায়গা পেল। অন্য দিকে মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল।

২৮ জানুয়ারি (শনিবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পূর্বে ব্যাট করে ৬টি উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচটিতে সঠিক জবাব দিতে ১২ বল থাকায় জিতে যায় সিলেট। নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচে সিলেট হেরে যায় রংপুর রাইডার্সের কাছে। এরই সাথে বরিশালকে টপকে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠে গেল সিলেট। 

শুরুর দিকে টসে জিতে ব্যাটিং করতে খুব একটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। তবে ইনিংসের ১ম বলে উসমান খানের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরে নেন জাকির হাসান, এতে মাশরাফি বিন মুর্তজা ইউকেট তুলে নেন। ওভারটিতে মাত্র ১ রান দেন। এদিকে মেহেদী মারুফের সাথে ৮৮ রানের জুটিতে মোকাবেলা করেন আফিফ হোসেন।  

এই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আমিরের বলে ৫টি চার ২৭ বলে ৩৪ রানের পর এলবিডব্লিউতে জুটি ভেঙ্গে যায়। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরেই আউট হন মেহেদী মারুফও। ৭টি চার এবং দু’টি ছক্কায় ৪০ বলে ৫২ রান যোগ করেন মারুফ। এরপর ম্যাক্স, ডাউড ও কার্টিস ক্যাম্পারও ফেরেন দ্রুতই।

ইমাদ ওয়াসিমের ৩ বলে মাত্র ১ রানে বোল্ড হন ম্যাক্স, ৪ বলে ৪ রান করে শুভাগতর সাথে ভুলের কারণে রান আউট হন ক্যাম্পার । এই ব্যাটাররা বিদায় নেয়াতে দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ৩টি চার এবং নিরপেক্ষভাবে ছক্কা মারায় ২৯ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো গতিতে ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত। এদিকে ইমাদ ওয়াসিম সিলেটের পক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন । 

সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঠিক জবাব: গ্যালারিতে জয়ের স্লোগান

সঠিক জবাবে স্বাগতিকদের ভালো সূচনা এনে দেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। হৃদয় ১৮ বলে ২ চারে ১৫ রান করে ফেরার পর এই জুটি ভেঙে যায়। শান্তা অবশ্য হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তৃতীয় ওভারে মেহেদি হাসান রানাকে পরপর তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি।  

সেই শটগুলির মধ্যে একটি ছিল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট জোনের মাধ্যমে দুর্দান্ত প্লেসমেন্ট। সেই বাউন্ডারির পর গ্যালারি থেকে শোনা যেত ‘হৈ’ ‘চৈ’ চিৎকার।শান্তর মাত্রাতিরিক্ত সমালোচনা করা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অনেক কথা হচ্ছে।

পরিবারের কষ্টের কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। আজ তার জন্য সিলেটের গ্যালারি থেকে শুভেচ্ছা এসেছে।

৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। নাহিদুজ্জামানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার সময় রাগে হেলমেট ছুড়ে মারতে দেখা যায় শান্তকে।  

সিলেটের বাকি পথটা সহজ করে দেন মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল। বার্ল ১৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। তবে শেষ অবধি মুশফিক ২৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করেন।

সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি

bn_BDBengali