কলকাতা নাইট রাইডার্স এর চতুর্থ হার, শীর্ষে চেন্নাই

টানা তৃতীয় বার হারের দেখায় কলকাতা নাইট রাইডার্স এর ভাগ্য ফেরাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে লড়তে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে রাখা হয় ডেভিড ভিসাকে। কিন্তু অবশেষে ভাগ্য ফিরেনি শাহরুখ খানের। এবারের ম্যানে টানা চতুর্থ হার কলকাতার। এদিকে ৮ম ম্যাচে পঞ্চম জয় নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই উঠেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তালিকায়।

এদিকে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইনিংসের শুরুতে বলে রুতুরাজ চার মারেও প্রথম ওভারেই চেন্নাই ৫ রান করতে পারে। এছাও দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম চার বলে শুধুমাত্র ৩ রান দেন প্রথম কলকাতার এই আইপিএল ম্যাচে নামিবিয়ান অলরাউন্ডার ভিসা।

তবে তৃতীয় বলে ডেভন কনওয়ের তোলা জটিল একটি ক্যাচ তালু বন্দি করার চেষ্টাও করেছিলেন ভিসা। ভিসার এই ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে আরম্ভ করেন কনওয়ে। ইতিমধ্যে সেই ঝড় যখন থামে তখন চেন্নাইয়ের ৪ উইকেটে ২৩৫ রান। আইপিএলের এই ইতিহাসে যা কিনা কলকাতার বিপক্ষে এবং ইডেন গার্ডেনে দলীয় সর্বোচ্চ হয়।

এরপর অজিঙ্কা রাহানে এবং শিবম দুবেরাও ঝড়ের গতিতে তাণ্ডব চালিয়েছেন রুতুরাজ এবং কনওয়ের গড়া ভিতের ওপরও দাঁড়িয়ে। রুতুরাজ এবং কনওয়ের শুরুতে জুটিটি ৪৫ বলে চেন্নাইকে রান দেন ৭৩। এদিকে ২০ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান নেন রুতুরাজ। ২য় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরা কনওয়ে ৪০ বলে করেছেন ৫৬ রান ১৩ ওভারে দলের জন্য ১০৯ রানে রেখে দিয়ে। এই ম্যাচে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ব্যাটসম্যান।

চেন্নাই ২৩৫ রান করার জন্য মোট ১৮টি ছক্কা হাকিয়েছে আইপিএলের একটি মাত্র এই ম্যাচে। চেন্নাই সুপার কিংসের এটাই সর্বোচ্চ ছক্কা। তবে ৩২ বলেই চেন্নাইয়ের রান ১৯৪-এ গড়েন রাহানে এবং দুবে। ২ চার এবং ৫টি ছক্কা মেরে ২১ বলে ৫০ রান করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। এদিকে দুবে ফেরার পর পরই সর্বশেষ ১৫ বলে আরও ৪১ রান যোগ করে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ পর্যন্ত রাহানে এই ম্যাচটি দুর্দান্ত পারফরমেন্সে অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৭১ রান করে। দুবেও মেরেছেন মোট ৫টি ছক্কা, সাথে চার মেরেছেন ৬টি। দুবে ফেরার পর উইকেটে আসেন জাদেজা  ৮ বলে ২টি ছক্কায় মোট ১৮ রান করেন।

এদিকে রান তোলার জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স ওপেনিংয়ে পাঠায় সুনীল নারাইন এবং উইকেটকিপার নারায়ণ জগদীশানকে। তবে ১ রান করে বিদায় নেন দু’জনেই। সুনীল নারাইন বিদায় হওয়ার পর কলকাতা নাইট রাইডার্স নামায় ভেংকটেশ আইয়ারকে। তিনি ২০ বলে শুধুমাত্র ২০ রানই করতে সক্ষম হয়েছেন, এদিকে সুয়াশ শর্মার বদলি হিসেবে নামা হয় এই ব্যাটসম্যানকে।

এদিকে মঈন আলীর প্রথম ওভারে প্রথম বলে সপ্তম ওভারে এসেই এলবিডব্লু করেন আইয়ারকে। এছাড়াও ওভারের শেষ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে চেয়েছিলেন না এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। এদিকে সতীর্থ জেসন রয় যেই ওভারের সর্বশেষ তিনটি বলেই ছক্কা হাকিয়েছিলেন। কিন্তু রিংকু সিংকের উপর কলকাতাকে একটু হলেও আশা দেখিয়েছিলেন রয়ই। ৫টি চার-ছক্কায় ২৬ বলে মোট ৬১ রান করে ইংলিশ ব্যাটসম্যান ঠিক তখনই ফেরেন ১৪ ওভার ৩ বলে তখন কলকাতার স্কোর দাড়ায় ১৩৫ রান ৫ ইউকেট। এর পূর্বেও দলের জন্য ৭০ রানে রেখে ফিরে যান নিতীশ রানা ২০ বলে ২৭ রান করে।

এদিকে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে খেলতে নেমে সর্বশেষ ৫ বলে ছক্কা মেরেও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতানোর জন্য রিংকু টিকে থাকার পরেও শুধুমাত্র বড় ব্যবধানই একমাত্র কমিয়ে আনতে পেরেছেন। তবে এই ম্যাচে রিংকু শেষ অবধি ৩৩ বলে মোট ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৮৬ রান করতে পারে।

সূত্র:- Right News BD