কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা: কফি বিশ্বের একটি জনপ্রিয় পানীয় উপাদান। এটি অসংখ্য ব্যক্তির জীবনে অত্যন্ত মুখ্য অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের দিকে অধিকাধিক উৎসাহিত করছে।

এই পোস্টে আমরা জানবো কফির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে:

নিয়মিত কফির উপকারিতা পেতে জেনে নিন

উচ্চ মাত্রার ক্যাফিন

কফির মুখ্য উপাদান ক্যাফিন, যা মানসিক ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি বুদ্ধিমত্তা, ক্রিয়াশীলতার সমস্ত দিকে সামর্থ্য বাড়াতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কফির উপকারিতা

কফি বিশেষকরে হাড়ের শক্তির মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটির মাধ্যমে রক্তচাপ স্তব্ধ রাখতে সাহায্য করে, যা স্বাস্থ্যের দিকে অনেক উপকারিতা হতে পারে।

অক্সিডেন্টাল ইন্জুরি প্রতিরোধ

কফির বিশেষ ধরনের অক্সিডেন্টাল ইন্জুরি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। তার একটি বিশেষ উপাদান অক্সিডেন্ট হলে শরীরের মেকানিজম চালুতে সহায়ক হতে পারে।

ডাইবিটিস প্রতিরোধ

ক্যাফিন ডাইবিটিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং আগামীতে এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

অক্সাইডেটিভ স্ট্রেসে সাহায্য

কফির একটি উপাদান পলিফেনল (Polyphenols), যা শরীরে অক্সাইডেটিভ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি কোষক্ষতির বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারে এবং এটি শরীরকে তার প্রাকৃতিক রক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

কফির উপকারিতা পেতে শক্তির উৎস

কফির শক্তি উৎস হিসেবে শরীরকে শক্তিশালী রাখতে পারে। যা একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত শ্রম প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কোলোন স্বাস্থ্যে উপকারিতা

কফি আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যে উপকারিতা বাড়াতে পারে এবং এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। কফি একটি শক্তিশালী অক্সিডেন্টাল ইন্জুরি প্রতিরোধ উপাদানও হতে পারে, যা কোলোনে ক্যানসারের প্রতিরোধে একটি অভিন্ন উপাদান।

ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ

কফির একটি উপাদান বিশেষভাবে ডিমেনশিয়া বা আলজাইমারজের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে ভারপ্রাপ্ত। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং মানসিক ভাগাভাগির ঝুঁকি কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

কফির অপকারিতা:

কফি জনপ্রিয় পানীয় হিসাবে প্রচুরভাবে সেবন করা হয়। তবে, কফির অনিয়ন্ত্রিত প্রতিরোধক্ষমতার কারণে এটি খাওয়ার অপকারিতা হতে পারে। কফির অধিক সেবনের কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে:

অধিশ্বাস্যতা এবং নিশ্চিততা

কফির গুণাগুন বাড়তি চিন্তা তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত কফিন সেবনের জন্য জোখিম

অতিরিক্ত কফিন সেবনের জোখিম আছে, যা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং বাড়তি কফিন খাওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

উচ্চ কাফিন মাত্রা:

উচ্চ মাত্রায় কাফিন অবশ্যই সমস্যা হতে পারে, যেমন নিউরোলজিক সমস্যা, অতিরিক্ত তাড়া, রাতে বিশ্রাম সমস্যা, ইত্যাদি।

অতিরিক্ত শরীরের জল হার

কফি একটি হাইড্রোফোবিক পানীয়, তার মাধ্যমে অতিরিক্ত কফি প্রভৃতির আপনার শরীরে পানি বাড়তে পারে, যা শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত কাফিন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে

অতিরিক্ত কাফিন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন হৃদরোগ, মিগ্রেন, ইত্যাদি।

সময়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বদলে দেয়

অতিরিক্ত কফি সময়ের মাধ্যমে শারীরিক অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলি প্রভাবিত করতে পারে, যা অচিন্তা, অবসন্নতা এবং শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

কফিতে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফিন

কফিতে থাকা ক্যাফিন একটি উচ্চ মাত্রা স্টিমুলেন্ট, যা শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফিনের কারণে নিদ্রাঘাত, তাৎক্ষণিক হৃত্পিণ্ড চলাচল, চিন্তা-চিন্তি এবং কার্যক্ষমতায় সমস্যা হতে পারে।

এসিডিটি বাড়াতে পারে

কফি এসিডিক হতে পারে এবং এটি অধিক পরিমাণে পর্যাপ্ত পানি সেবন না করলে ড্রাই মাউথ, পেট অসুস্থতা, এসিড রিফ্লাক্স এবং অন্যান্য প্রবল স্থিতিতে আসতে পারে।

মানসিক অবসাদ এবং উত্তেজনা

কফিতে থাকা ক্যাফিন মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে এবং অতিরিক্ত কফি সেবনের কারণে ব্যক্তি উত্তেজনা অথবা অবসাদে পড়তে পারে।

শরীর তাপমাত্রা

কফি অতিরিক্ত প্রতিরোধক্ষমতার কারণে ব্যক্তির বাড়তি শরীর তাপমাত্রা বাড়তে পারে, এতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত প্রভাব

অতিরিক্ত কফি সেবনের কারণে ব্যক্তির হৃদয়ের দায়িত্ব বৃদ্ধি পাতে পারে এবং এটি স্বাস্থ্যকর নয়।

পরিশেষে

যেমনটা প্রতি জিনিসেই, কফির সেবনেও মধ্যমার্জিতভাবে সেবন করলে তা সমৃদ্ধিকর হতে পারে, কিন্তু অতিরিক্ত সেবনের কারণে কিছু অপকারিতা হতে পারে। ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য অবাধ্যতা মেনে নিতে হলে তাকে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলা উচিত এবং প্রয়োজনে কফি সেবনের পরিমাণ সম্বলিত রেখে চলা উচিত।

সূত্র:- Right News BD