ভয়াবহ ভূমিকম্পে নতুন যে তথ্য দিলেন এরদোগান তুরস্ক ভূমিকম্প নিয়ে। ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ভোররাতের সময় তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এই দুই দেশে ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষাধিকও আহত হয়েছে। হাজার হাজার ভবন নিমিষেই ধসে পড়েছে। ১৯৩৯ সালের পর এটিই দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ধরা হয়েছে।
এরদোগান তুরস্ক ভূমিকম্প নিয়ে বলেন ১৯৯৯ সালে এর পূর্বে দেশটিতে এক ধরণের বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে গত সোমবারের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পটি ১৯৯৯ সালের থেকে মারমারা ভূমিকম্পের থেকেও ৩ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
ইয়েনি শাফাক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান শনিবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দিয়ারবাকির যাত্রা সময়ে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “দক্ষিণ তুরস্কে ভূমিকম্পটি ভয়াবহভাবে আঘাত হানায়, গত ১৯৯৯ সালের মারমারা ভূমিকম্পের তুলনায় ৩ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং প্রচুর ধ্বংসাত্মক ছিল, ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকস্মিক দুর্ঘটনা যা আমাদের দেশের জন্য অকল্যাণ ।
এদিন তুর্কির উপদেষ্ঠা বলেন, তুরস্ক ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত অত্যাধিক মাত্রায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন প্রায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। এর পূর্বে গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ভোরে ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাত হানে।
এরদোগান বলেছেন, “বর্তমানে ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারীদের সাথে কাজ করছে।” ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ পর্যায়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ভয়াবহ দুর্যোগে পাশে দাঁড়ানোর জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন। এর পূর্বে, এরদোগান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলি আগামী বছরের ভিতর সংস্কার করা হবে।
সূত্র:- Right News BD