আমার বাবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কিছু খাবার খেয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তার রক্তচাপ অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছিলেন। তাই তিনি নিয়মিত রসুন, কলা, পালং শাক, বিটের স্যুপ এবং মাঝে মাঝে ডার্ক চকলেট খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন।
বিশেষ করে, এসব খাবারগুলো শুধু রক্তচাপই নিয়ন্ত্রণ করেনি, বরং তার সামগ্রিক সুস্থতায় বড় ভূমিকা রেখেছিল।
আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের খাদ্যতালিকা খুঁজে থাকেন, তাহলে এই খাবারগুলো আজ থেকে শুরু করতে পারেন।
স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের খাবার
রসুন
দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বাবা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগতেন। তাই তিনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে রসুন খেতেন।
প্রথমে এটি খেতে অনেক কঠিন মনে হলেছিল, তবে রসুন কিছুদিন খাওয়ার পর পরেই তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
রসুনের সালফার যৌগ রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে এবং রক্তচাপ কমায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য যে কারোর জন্য রসুন দারুণ কার্যকর হতে পারে।
কলা
শাহীন নামে আমার এক বন্ধুর প্রায়ই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিত। তাই সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরোয়া উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে প্রতিদিন সকালে একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস শুরু করে।
তাছাড়া আমি নিজেও দেখেছি, মাত্র কয়েক সপ্তাহ কলা খেয়ে তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
বিশেষ করে, কলা পটাসিয়ামের দারুণ উৎস থাকে, তাই শরীরের সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য কলার পটাসিয়াম সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ফলের তালিকায় একটি আদর্শ খাবার।
পালং শাক
একদিন আমি সহ আমার মা আমার ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার ফুফাতো বোন অসুস্থ। তার কাছে শুনলাম তার নাকি উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
যেহেতু আমার বাবাও রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছিলেন। যদিও ডাক্তার আমার বাবাকে ৫ ধরণের খাবার খেতে এই সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী বাবা রসুন খেয়ে বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন।
আমি এই সমস্য সমাধানের জন্য ৫ টি খাবারের মধ্যে ফুফাতো বোনকে পালং শাক খাওয়ার পরামার্শ দেই। সে আমার কথা অনুযায়ী প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পালং শাক যোগ করেছিল।
১৫-২০ দিন পর মোবাইল করে জানতে পারলাম পালং শাক খাওয়ার পর তার রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশেষ করে পালং শাকের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তখন আমি লক্ষ্য করলাম পুষ্টিকর শাকসবজি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় যোগ করলে যে কারোরই অসাধারণ পছন্দের হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য আপনার ক্ষেত্রে পালং শাক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
বিটের স্যুপ
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে বিটের স্যুপ অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বিটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, ফলে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
বিটের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে আপনার যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে, এটি নিয়মিত খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
শরীরের অন্যান্য সমস্যা সহ রক্তের সমস্যা সমাধানে বিটের স্যুপ অত্যন্ত কার্যকর।
ডার্ক চকলেট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ডার্ক চকলেট আমার জন্য একটি মজার সমাধান হয়।
এই রোগে আক্রান্ত যেকোন ব্যক্তি নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেয়ে তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে এবং ক্রমানুসারে এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে, এই চকলেট পরিমাণ অনুযায়ী সতর্কতা মেনে খেতে হবে।
সূত্র: Right News BD