আম খাওয়ার ৫টি দুর্দান্ত টিপস

প্রাকৃতিকভাবে প্রত্যেক বছর আম গাছ থেকে আম একবারই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। জুন মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্তু আম খাওয়ার একমাত্র উপযুক্ত সময়। এছাড়াও আম দ্রুত হজম হওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আমের জাত সমূহ অনুযায়ী কোন আমের জাত কোন সময় পাওয়া যায় সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত সঠিক ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে জুন মাসেই জাতীয় তাজা ফল হিসেব সর্বোত্তম উপায় হল বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় ফল আম।

আপনি যদি কখনও তাজা আম না কিনে থাকেন তাহলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা ভয় দেখাতে পারে। কিভাবে ভালো আম বেছে নিতে হয় আজ ৫টি দুর্দান্ত টিপস এর মাধ্যমে জেনে নিতে পুরো পোষ্টটি পড়ুন।

আম খাওয়ার ৫টি দুর্দান্ত টিপস

কিভাবে আম বাছাই করবেন

আম বাছাই করার সময়, একটি আমের গায়ের রঙ দ্বারা কখনো বিবেচনা করবেন না। রঙ সেরা সূচক নয়। আম পাকা কিনা তা জানার সর্বোত্তম উপায় হল সেগুলি অনুভব করা। হাতে করে আলতোভাবে আম দেখে নিন। যদি হালকা নরম হয় তবে এটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত। যদি এটি শক্ত হয় তাহলে এটি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে পাঁকাতে হবে।

আপনি একটি বাদামী কাগজের ব্যাগে একটি আম রেখে দিয়েও পাকার প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে পারেন, ব্যাগটি বন্ধ করুন এবং ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অন্তত্য দুই দিনের জন্য রেখে দিন। ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করলে পাকার জন্য প্রক্রিয়াটি অনেক সময় নিবে। যদি আপনি এখনই খেতে না চানন।

আপনি কোন সময় নিজেই আম কাটার চেষ্টা করেছেন? এটা একটু চতুর হতে পারে. মাঝখানে লম্বা, চ্যাপ্টা বীজ এড়িয়ে একটি আম সহজেই কাটতে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:




১। ঠান্ডা টিউবওয়েলের পরিস্কার পানিতে আম ধুয়ে নিন। এছাড়াও আমের মধ্যে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড যা কিনা শরীরের জন্য হানিকারক।

২। আম খাওয়ার জন্য আমের নীচের অংশে ছোট একটি টুকরো কেটে নিন। আমের গোড়া সোজা করে রাখুন।

৩। দুই পাশের কান্ড থেকে ১/৪ ইঞ্চি কেটে আমের পাশ কেটে নিন। আমের বীজ লম্বা এবং চ্যাপ্টা, সে জন্য আপনি যদি বীজে আঘাত করেন তাহলে আপনার ছুরিটি অন্য দিকে ছুঁটে যেতে পারে।

৪। চামড়া না ছাড়িয়ে আমের মাংসে সমান্তরাল টুকরো কাটুন।

৫। একটি চামচ ব্যবহার করে আমের টুকরো অংশ থেকে আমের শাঁস বের করে নিন। তারপর নিজের ইচ্ছেমত পরিবেশন করতে থাকুন।

এছাড়াও আম সালাদ বা চাটনি করেও খাবারের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

সূত্র: – Right News BD

bn_BDBengali