অনলাইনে ট্রেনের টিকিট : এবারের ঈদযাত্রায় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে অগ্রিম অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও ঈদুল ফিতরের মতই এবারের ঈদেও অগ্রিম অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ভাগভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কমলাপুর রেলষ্টেশনের সেই আগের মতো আর ভিড় দেখা যাচ্ছে না বলে চলে। সেখানে মানুষ টিকিট কাটার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে না।
তবে আজ বুধবার অনলাইনে আগামী ২৪ তারিখের ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ করে এবারের ঈদুল ফিতরে ট্রেনের টিকিট দুই ভাগে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকাল ৮টায় ও দুপুর ১২টায় পশ্চিমাঞ্চালের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে কমলাপুর রেলষ্টেশনের ম্যানেজার মো: মাসুদ বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় আজ বুধবার থেকেই অগ্রিম অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আজ অনলাইনের বিক্রি হওয়া পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের ১২ হাজার ৮২১ টি সিট ছিল। এগুলো টিকিট আজ সকাল ৯টার মধ্যেই বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ সকাল ৮টা থেকে ৮:৩০ মিনিটের মাধ্য টিকিট কাটার সেই সাইটটি অনেক জ্যাম ছিল। এদিকে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অনেক মানুষ সেই সাইটে প্রায় ৪০ লাখ বার প্রবেশ করে। এদিকে অনলাইনে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে সহজ ডটকমের মাধ্যমে। সেখানে প্রতি ১ মিনিটে প্রায় আট হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে এই সাইটে অনেকে প্রবেশ করার পরও এখন পর্যন্ত সাইটি ডাউন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আজ ১৪ জুন (বুধবার) সকাল সকাল কমলাপুর রেলষ্টেশন পরিদর্শনে দেখা যায় টিকিট কাউন্টারগুলোতে কোনরকম ভিড় নেই। সাধারণ দিনের মতই টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
এদিকে রেলসূত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) ২৫ জুনের টিকিটগুলি অনলাইনে অগ্রিম বিক্রি করা হবে এবং ১৬ জুন (শুক্রবার)-এ ২৬ জুনের টিকিটগুলো বিক্রি করা হবে। এভাবে ১৮ জুন (রবিবার) পর্যন্ত ২৮ জুনের টিকিটগুলো অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদের পরে ফিরে আসার জন্য অগ্রিম টিকিটগুলো দেওয়া হবে ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে। সে মোতাবেক ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) দেওয়া হবে ২ জুলাইয়ের টিকিটগুলি। এদিকে ২৩ জুন থেকে ৩ জুলাই, ২৪ জুন থেকে ৪ জুন, ২৫ জুন থেকে ৫ জুন ও ২৬ জুন থেকে ৬ জুলাই মাসে টিকিট দেওয়া হবে।
এই ঈদে অনলাইনে প্রায় ২৫ শতাংশ স্থায়ী ট্রেনের টিকিট থাকবে
রেলসূত্রে জানা যায়, আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশকে স্থায়ী টিকিট দেওয়া হবে। তবে ভ্রমণের দিন যাত্রীরা চারটি স্টেশন থেকে এতে চড়তে পারবেন। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৩২ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকা কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর ষ্টেশন থেকে স্ট্যান্ডিং টিকেট পাওয়া যায়। তবে মাঝপতে বিরতি নেয় এমন কোন ষ্টেশনে স্থায় টিকিট কোনভাবে পাওয়া যাবে না।
আট জোড়া ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রয়েছে
রেলওয়ের সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন এবং ঈদের পরের দিনেও পাঁচ দিন তিন জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এদিকে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে এক জোড়া ট্রেন। ঈদের দিন শুধু শোলাকিয়া ঈদাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়াও ঈদের আগে ও পরে ঢাকা সেনানিবাস থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহট রুটে আরও দুই জোড়া ট্রেন চলবে।
অতিরিক্ত কোচ ইঞ্জিন যুক্ত করা হবে
রেলওয়ের প্রজ্ঞাপন সভায় দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ৬৫টি কোচ সংযোজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে প্রায় ৪০টি মিটারগেজ কোচ এবং সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রডগেজ কোচ আনা হবে। এছাড়াও এবারের ঈদযাত্রায় গ্রাহককে কেন্দ্র পূর্বাঞ্চলে ২১৮টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন সংযোজনের পরিকল্পনা চলছে।
সূত্র:- Right News BD