হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে অভ্যাসগুলো

কম বয়সে অনিয়মিত জীবনযাপন, স্বাস্থ্যহীন খাদ্যাভাসগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার প্রধান কারণ হয়ে যায়। সে জন্য ৪০ বছর পার হওয়ার পর পরেই সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে খাওয়ার প্রসঙ্গে সতর্ক থাকলেও এই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না অনেকে।

তবে এ রোগের ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসকরা বলেন, মানুষ তার নিজের মনের ভুলে এমন কিছু অভ্যাসে পরিণত হয়ে পড়ে, যা কিনা এই রোগকে ডেকে আনে। সেই রোগগুলির বিষয় সম্পর্কে জানুন।

শরীরের ওজন বৃদ্ধি

শরীরের ওজন বৃদ্ধি

স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে যেকোন বয়সেই ওজনের ওপর সঠিক নজর দিতে বলেন অনেক চিকিৎসকরা। কেননা দেহের নিম্নাংশে অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি বেড়ে গেলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। কারণ, বাড়ার সাথে সাথে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ধরণের সমস্যাগুলোও বেড়ে যেতে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এসব লক্ষণগুলো অনায়সে হার্টের রোগের সৃষ্টি হয়ে যায়।

অনিয়মিত শরীরচর্চা

অনিয়মিত শরীরচর্চা

নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না অনেকে আছেন, এমতবস্থায় ঠিক তাদেরই মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও শারীরে স্থুলতা থাকার কারণে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়, সে সব রোগ গুণে শেষ করা যাবে না। কিন্তু শরীরচর্চা মানেই যে শরীর থেকে ঘাম বের করানো, মোটেও তা নয়। অনেক চিকিৎসকের মতে, নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা চলা করলেও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

লিভারের যত্ন

লিভারের যত্ন

অনেকে বলে থাকে পেট পরিস্কার থাকলে সব কিছুই ভালো থাকে। এদিকে হার্ট ভালো রাখার জন্য লিভারের কাজ করার ক্ষমতা ভালো হওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ, হার্ট ভালো রাখার জন্য যে উৎস্যগুলো লিভার থেকে প্রবহমান হয়, লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলে তা বিঘ্নপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়তে পারে।

মধ্যপানের কারণ

মধ্যপানের কারণ

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে প্রত্যেকদিন অফিস কিংবা ব্যবসার প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে আসার সময় কোনভাবেই মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অস্বাভাবিক মদ্যপানে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা কিনা ধমনীতে মেদ তৈরি হতে সহায়তা করে। আর মেদ জমার কারণে ধমনীর পথ সঙ্কুচিত হওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কোন ভাবেই এড়ানো সম্ভব হয় না।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে

ভাত খাওয়ার সময় সাদা ভাতে আলাদা করে লবণ না নিলে অনেকে ভাতের স্বাদই পায় না। প্রতিনিয়ত খাবারের সময় এ রকম অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। যে কোন ব্যক্তি সমস্ত দিনের মধ্যে মাত্র ৫ গ্রাম লবণ খেতে পারবেন।

তাছাড়াও ভালোমানের প্রক্রিয়াজাতকরণ, ভালো প্যাকেটজাত হিসেবেও বুঝে খেতে হবে। তা না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali