শীতে পা ফাটা রোধ করার ৫টি ঘরোয়া সমাধান

১. মধু ও লেবুর রস (শীতে পা ফাটা রোধ সহ ত্বক নরম রাখতে সহায়ক)

উপাদানব্যবহার পদ্ধতিউপকারিতা
মধু১. এক চামচ মধু নিন।
২. পায়ের ফাটা স্থানে আলতো করে লাগান।
৩. ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন।
৪. কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বককে নরম রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
লেবুর রস১. এক চামচ লেবুর রস নিন।
২. পায়ের ফাটা স্থানে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
৩. ১০-১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, যা মৃত কোষ দূর করে। এটি পায়ের ফাটা স্থানকে মসৃণ করে এবং ত্বকের টানটানভাব ফিরিয়ে আনে।

২. অলিভ অয়েল: (শীতে পায়ের ত্বক নরম ও মসৃণ করে)

উপাদানব্যবহার পদ্ধতিউপকারিতা
অলিভ অয়েলের ভিটামিন ই১. দুই চামচ অলিভ অয়েল নিন।
২. পায়ের ফাটা স্থানে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
৩. ৩০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন বা সারা রাত রেখে দিন।
ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, কোষ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং পায়ের শুষ্কতা ও ফাটা রোধে কার্যকর।
ভিটামিন এ১. অলিভ অয়েল পায়ের ফাটা স্থানে ম্যাসাজ করুন।
২. ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন বা সারা রাত রাখুন।
ভিটামিন এ ত্বকের পুনরুজ্জীবিত করে, শীতে শুষ্কতা দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
ভিটামিন ডি১. প্রতিদিন পায়ের ফাটা স্থানে অলিভ অয়েল লাগান।
২. সারা রাত রেখে দিন বা ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ভিটামিন ডি ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ফাটা অংশ মেরামত করতেও কার্যকর।

স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

অলিভ অয়েলের পুষ্টি উপাদানপরিমাণ (১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল)উপকারিতা
ক্যালরি১২০ ক্যালরিশরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি প্রদান করে।
ফ্যাট১৪ গ্রামহৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট১০ গ্রামরক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট১.৫ গ্রামভালো ফ্যাট হিসেবে কাজ করে এবং প্রদাহ হ্রাসে সহায়তা করে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট২ গ্রামসুষম মাত্রায় সেবন করলে স্বাস্থ্যকর চর্বি হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন ইদৈনিক প্রয়োজনের ১০%শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ত্বক ও চুলের সম্যসা প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন কেদৈনিক প্রয়োজনের ৬%রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টপর্যাপ্ত পরিমাণকোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসামান্যমস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করে।
ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড১ গ্রামসুষম মাত্রায় সেবন করলে প্রদাহ রোধে সহায়তা করে।

৩. পেঁয়াজের রস (শীতে পা ফাটা মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরী করে)

পুষ্টি উপাদানপরিমাণ (১০০ গ্রাম পেঁয়াজ)উপকারিতা পা ফাটা রোধে
ভিটামিন সি৭.৪ মিলিগ্রামত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা পায়ের শুষ্কতা ও ফাটা অংশ পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
সালফারউচ্চ পরিমাণেসালফার অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের ইনফেকশন রোধ করে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টপর্যাপ্ত পরিমাণফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।
ফাইটোকেমিক্যালকুয়েরসেটিনসহ বিভিন্নফাটা ও শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন বি৬০.১ মিলিগ্রামত্বকের কোষের পুনর্গঠন করে, যা পায়ের ত্বকের শুষ্কতা কমায়।
পটাশিয়াম১৪৬ মিলিগ্রামত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক, যা শীতে পায়ের শুষ্কতা ও ফাটা সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

৪. ওটমিল: (ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে তুলতে সাহায্য করে)

ওটসের পুষ্টিগুণ

    পা ফাটা রোধে ওটসের উপকারিতা

      পা ফাটা রোধে ওটস ব্যবহারের উপায়

        ৫. কলা (ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী)

        পরিশেষে পা ফাটা রোধের অতিরিক্ত টিপস

        • প্রতিদিন পা ভালো করে ধুয়ে মুছুন।
        • শুকনো পায়ে কখনোই ঘষবেন না।
        • পানি বেশি পরিমাণে পান করুন।
        • নরম কাপড়ের মোজা পরুন।
        • যতক্ষণ সম্ভব খালি পায়ে হাঁটবেন না।

        সূত্র: Right News BD

        bn_BDBengali