মেয়েদের মুখে ব্রণ হয় কেন?

মুখের ত্বক খারাপ হওয়ার একটি নাম হচ্ছে ব্রণ! মেয়েদের মুখে ব্রণ যেকোন বয়সেই হয়ে থাকে। সে কারণে সুন্দর ত্বকের জন্য সঠিক সময়ে যত্ন নেওয়া। নইলে ব্রণের আশঙ্গায় মুখের স্কিনের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্যতা – পুরোপুরী হারিয়ে যাবে। এছাড়াও মুখে ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে পুরোপুরী সমাধান করা সম্ভব।

অবশ্যই ব্রণ দূর করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনেকটা ভেবেচিন্তে। কেননা, মুখের ব্রণ খুবই সংবেদনশীল। তাই, অমনোযোগী না হয়ে সঠিকভাবে যত্ন না নিলে ত্বকের অবস্থা অতি তাড়াতাড়ি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে জন্য পূর্বেই জানা প্রয়োজন মুখে ব্রণ কেন হয়? কারণ সমূহ জানতে পারলেই মুখের ব্রণের প্রতিকার করা সম্ভব।

মুখে ব্রণ কেন হয়?

মুখে ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণকে প্রধান হিসেবে বিবেচনা করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে একটি অন্যতম মাধ্যম  হচ্ছে – মুখের ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের এক প্রকার তেল বাহির হওয়া। এই তেল বের হওয়াটা ত্বকের জন্য স্বাভাবিক একধরণের প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক এই  প্রক্রিয়াতে কোন প্রকার ব্যাঘাত ঘটলেই মুখে ব্রণের সৃষ্টি হয়। যেমন, মেকআপ কিংবা প্রতিদিনের বায়ু দুষণে ত্বকের উপরে ময়লা জমে যায়। ফলে সেবাম অয়েল ত্বকের ভিতর থেকে বের হতে পারে না, সে কারণেই সেখানে জমে গিয়ে ফুলে উঠে এবং মুখে ব্রণ উঠতে থাকে।

তাছাড়াও ব্রণের কারণে ত্বকে অনেক জ্বালাপোড়া, অতিরিক্ত চুলকানি বা লালচেভাবও হয়ে থাকে। এছাড়াও, হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে, ঘুমের ব্যাঘাত, ব্যাকটেরিয়া, সঠিক সময়ে যত্নের অভাব, ভুল করে যেনতেন পণ্য ব্যবহার করলেও মুখে ব্রণের সৃষ্টি হয়। 

ব্রণ দূর করার উপায়

খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করা সম্ভব হতে পারে। কেননা, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় মুখের ব্রণ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখার একমাত্র উপায়। সে জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, প্রচুর পরিমানে ঘুম দেওয়া, সবসময় ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং নিয়ম অনুযায়ী ত্বকের যত্নে ভালোমানের পণ্য ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সবসময় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য নিয়ম মাফিক রুটিন অনুযায়ী মেনে চলাটাও সহজ হয়ে উঠে না। তবে ছোট ছোট কিছু নিয়ম লক্ষ্য রাখলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই ব্রণ দূর করার উপায় সমূহ-

Cleanser

ক্লিনজার (Cleanser)

সুন্দর মুখের ত্বক থেকে চিরতরে ব্রণ দূর করার সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্টের তালিকায় রয়েছে ক্লিনজার এই ক্রিমটি সব সময় সবার উপরেই থাকে । ক্লিনজার সাধারণত যে কোন বয়সের নারী-পুরুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে মুখের মধ্যে জমে থাকা যে কোন ময়লাকে পরিস্কার করতে অনেক সাহায্য করে।

এই ধরণের ক্লিনজারগুলো মূলত বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। সে জন্য ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কিনের অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমিয়ে ফেলে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে মুখ পরিষ্কার করে ত্বককে রাখে সতেজ ও প্রাণবন্ত। তবে মুখ পরিস্কার রাখার জন্য বায়োজিন ব্যবহার করা যেতে পারে। যা কিনা স্কিনের অতিরিক্ত ময়লা দূর করে স্কিনকে সব সময় ফ্রেশ রাখবে।

মুখে মাস্ক ব্যবহার করা

সপ্তাহে অন্তত্য ১ থেকে ২ বার মুখে মাস্ক ব্যবহারের ফলে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। কেননা, মাস্ক ব্যবহারের ফলে ত্বকের এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। যা স্কিনের থাকা মৃত কোষ এবং ময়লা দূর করে স্কিনকে সব সময় সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে। সে রকম একটি মাস্ক হচ্ছে বায়োজিনের। প্রাকৃতিক নির্যাসের হলুদের গুণে এই মাস্ক ব্যবহার করলে স্কিনে ব্রণ কিংবা ব্রণের দাগ দূর করে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আর স্কিন হয় সতেজ ও মসৃণ।

Antibacterial face wash

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফেসওয়াশ (Antibacterial face wash)

ছোট ছোট ব্যাকটেরিয়ার কারণে মূলত মুখের ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হওয়ার একমাত্র কারণ হতে পারে। তাই, ব্রণের এই অসংখ্য ব্যাকটেরিয়াগুলোকে পুরোপুরি নির্মূল করার জন্য ব্রণমুক্ত ফ্রেশ নিয়মিত ব্যবহারে স্কিনের জন্য আবশ্যক হতে পারে। এ ধরণের ফেসওয়াশগুলোর একটিভ উপাদানের মাধ্যমগুলো অসংখ্য ব্যাকটেরিয়াকে নিমিষের মধ্যে ধ্বংস করে না। বরং আবার সেই অসংখ্য ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ফিরে আসাকেও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এরকমই একটি ফেসওয়াশের নাম নরম্যান ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেল। এই ক্রিমটি গ্রীন চায়ের নির্যাসে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহারের ফলে স্কিনের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে অয়েলি ভাব এবং মুখে ব্রণ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে স্কিনের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায্য করে।

Porous serum

পোরস সিরাম (Porous serum)

এই পেষ্টে উপরে উল্লেখিত ব্রণমুক্ত স্কিনের যত্নে দরকার পোরসের সঠিক পরিচর্যার কথা বলা হয়েছে। পোরস সিরাম মুখে ফুলে উঠা বা বড় ধরণের পোরসের মুখ বন্ধ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। সে কারণে সিবাম অয়েল ব্যবহারে স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে। এছাড়াও মুখের ত্বকে ব্রণ হওয়া সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে। কার্যকরী এই পোরস সিরাম অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য স্কিনের জন্য ৬৫% ফুলে উঠা কিংবা বড় হওয়া পোরসের মুখগুলো কমিয়ে আনে। যার ফলে স্কিন দেখায় ফ্রেশ ও নিখুঁত।

Sebum oil

সিবাম অয়েল (Sebum oil)

অতিরিক্ত সিবাম অয়েল এর কারণেই যে কোন বয়সের মেয়েদের মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে। সে জন্য, স্কিনের উপর সিবাম অয়েল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্রণমুক্ত ফ্রেশ স্কিনের একমাত্র পূর্বশর্ত। স্কিনের এই চ্যাটচ্যাটে অয়েলি ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী প্রোডাক্ট বায়োজিনের ক্লিনজিং জেল যা স্কিনের এই অয়েলি ভাব নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি স্কিনের ইমপিউরিটিস, মেকআপ এবং গভীরে থাকা ময়লাগুলোকে পরিষ্কার করে। এদিকে শসার নির্যাস ব্যবহারে স্কিনকে করে তোলে সতেজ, স্নিগ্ধ ও প্রাণবন্ত।

তাছাড়াও, ডার্মাটোলজিস্ট প্রাপ্ত ডার্মো কসমেটিকস বায়োজিন সব সময় পাশেই পাওয়া যায় স্কিনের যত্ন নেওয়ার জন্য। তাছাড়াও, ব্রণমুক্ত ফ্রেশ স্কিনের সঠিক যত্নে বায়োজিন এর সেরা ৫ অ্যান্টি একনি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সঠিক পরামর্শ রইলো। বায়োজিনের এই সেরা ৫ অ্যান্টি একনি প্রোডাক্টে রয়েছে যেমন – Normacne Cleansing Facewash Gel, Normacne Acne Spot Treatment, Anti-Acne Serum, ACNE CLEANSER, ACNE CREAM গুলো।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali