আপনি জানেন কি? যেকোন লোকের পক্ষেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ২০১৮ থেকে ১৯ সালের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে এই সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশে মোট ১৭ শতাংশ বা ২ কোটি প্রাপ্তবয়স্করা নিয়মিত মানসিক রোগে ভুগছেন।
জরিপ অনুযায়ী শতকরা ৯২ শতাংশ মানুষই মানসিক চিকিৎসা গ্রহণ করছেন না।
একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে এত সংখ্যক মানুষ সবসময় অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ তারা অসুস্থ হয়েছেন জেনেও ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন না।
আপনিও যদি তাদের সম্যসায় সম্মুখিন হন তাহলে, জেনে নিতে পারেন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি কার্যকরি টিপসগুলো।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপস
১. মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যায়াম
নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণা বলছে, নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং সুখী অনুভূতি বাড়াতে সহায়ক। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং বা ইয়োগা করতে পারেন।
২. পুষ্টি, স্বাস্থ্যকর খাবার
সঠিক খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে বিষেণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফলমূল, শাকসবজি এবং প্রোটিনের উৎস যেমন বাদাম এবং মাছ মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
৩. ভালো ঘুম
ঘুমের অভাব সরাসরি আমাদের মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন
মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঠিক অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে ও মানসিক প্রশান্তি পেতে সহায়ক। এটি আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে মনোনিবেশ করতে শেখায়।
৫. সামাজিক সংযোগ
মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অন্যদের সাথে সংযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, পরিবার এবং সহকর্মীদের সাথে খোলামেলা কথপোকথেনর মাধ্যমে মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা যেতে পারে।
৬. সৃজনশীল কাজ
সৃজনশীল কাজ আপনার মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং মানসিক শান্তি দেয়। যেমন, ছবি আঁকা, লেখালেখি, গান শোনা বা গার্ডেনিং-এর মত শখ গড়ে তুলুন।
৭. ডিজিটাল ডিটক্স, প্রযুক্তি
একটানা প্রযুক্তি ব্যবহার মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। মাঝে মাঝে ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে বিরতি নিয়ে প্রকৃতির সাথে সময় কাটান।
৮. ইতিবাচক চিন্তা
ইতিবাচক চিন্তা চর্চা করা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। নিজেকে ভালোবাসা এবং নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৯. ম্যাসেজ থেরাপি
কখনও কখনও পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া দরকার। থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাথে দেখা করে নিজের চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে কথা বলুন।
১০. নিজেকে সময় দেওয়া
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিজেকে সময় দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পছন্দের কাজ করুন, যা আপনাকে স্বস্তি দেবে এবং আপনার ইচ্ছা শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সহায়ক হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ নিয়ে সর্বশেষ কথা
ভালো রাখার জন্য আমাদের দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কের এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
তাছাড়া নিয়মিত শরীর চর্চা করলে আপনি মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করতে পারবেন।
সূত্র: Right News BD