আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে প্রথমবারের মতো দেখা মিললো টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি। মহাসাগরের তলদেশে দেখা মিললো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ প্রায় ১’শ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে। জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র কখনোই একসঙ্গে ক্যামেরায় ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। তবে গবেষকদের সর্বশেষ চেষ্টায় ত্রিমাত্রিক থ্রিডি স্ক্যানিং ব্যবহারের মাধ্যমে সফল হয়েছেন। প্রথমবারের মতো দেখা মিললো টাইটানিক জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি ত্রিমাত্রিক থ্রিডি স্ক্যানিং এর মাধ্যমে তৈরি করতে পেরেছেন গবেষকরা।
![প্রথমবারের মতো দেখা মিললো টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি](https://i0.wp.com/rightnews-bd.com/wp-content/uploads/2023/05/প্রথমবারের-মতো-দেখা-মিললো-টাইটানিকের-পুরো-ধ্বংসাবশেষের-ছবি.jpg?resize=768%2C277&ssl=1)
তবে গবেষকরা গত ২০২২ সালে প্রস্তুতি নেন ত্রিমাত্রিক স্ক্যানের মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরি করতে। সেই বছরের গ্রীষ্মের ছয় সপ্তাহ (৪২) দিন ধরে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের তথ্য সংরক্ষণ করে রোমিও জুলিয়েট নামের ২টি যান। ছয় সপ্তাহে মোট ১৬ টেরাবাইট তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। গত ১৭ মে (বুধবার) সেখান থেকেই তৈরি করা ধ্বংসাবশেষের ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়াও টাইটানিক জাহাজটি ১৯১২ সালের দিকে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে যাত্রা করছিল। উদ্বোধনের পর জাহাজটির যাত্রা ছিল প্রথম। যাত্রা পথে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে একটি হিমশৈলের (আইসবার্গের) সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক জাহাজটি। জাহাজে থাকা প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন যাত্রী মারা যায়। জাহাজটি সেই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী এবং আধুনিক ও বিলাসবহুল জাহাজ ছিল।
![প্রথমবারের মতো দেখা মিললো টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি](https://i0.wp.com/rightnews-bd.com/wp-content/uploads/2023/05/প্রথমবারের-মতো-দেখা-মিললো-টাইটানিকের-পুরো-ধ্বংসাবশেষের-ছবি-1.jpg?resize=413%2C231&ssl=1)
এছাড়াও টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে রয়েছে। সেই সমুদ্রপৃষ্ঠ কানাডা উপকূলের প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে। এছাড়াও ১৯৬৫ সালের দিকে জাহাজটির প্রথম ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। সে সময় থেকেই ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণা চালাচ্ছিলেন গবেষকরা। অনেক চেষ্টা করেও কখনোই জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষ ক্যামেরায় ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।
আটলান্টিক প্রোডাকশন ও ম্যাগেলান লিমিটেড প্রতিষ্ঠান দু’টি ত্রিমাত্রিক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরির কাজটি করেছে। ছবি তৈরির কাজে জড়িত বিজ্ঞানীরা বলেন, এটি টাইটানিক জাহাজটির ধ্বংস নিয়ে ধারণা পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে পারে।
সূত্র:- Right News BD