কিভাবে দ্রুত খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আজকের এই পোষ্টটি অনুসরণ করলে সহজেই জানতে পারবেন? তাছাড়া খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকেরই হয়।
মাথার ত্বক শুকনো বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবের কারণে খুশকি দেখা দিতে পারে। সঠিক পরিচর্যা না করলে খুশকি হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ার কারণও হতে পারে।
খুশকি দূর করার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
নিচে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো:
চিরতরে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন
অ্যাপল সিডার ভিনেগার খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফাঙ্গাস বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এক অংশ পানি ও এক অংশ ভিনেগার মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান, ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যা ফাঙ্গাল সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাথার ত্বককে খুশকিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বক শীতল রাখে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস
লেবুর রস খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকরী।
এতে থাকা সাইট্রিক এসিড মাথার ত্বককে পরিষ্কার করে এবং খুশকি রোধে সহায়তা করে। লেবুর রস স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি বীজ পেস্ট
মেথি বীজ খুশকি রোধে উপকারী।
এক রাত মেথি বীজ ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা মৃত কোষ দূর করে এবং খুশকি কমায়। শ্যাম্পুর আগে সরাসরি বেকিং সোডা স্ক্যাল্পে ঘষে ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ফাঙ্গাল সংক্রমণ রোধ করে। স্ক্যাল্পে নিয়মিত নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে খুশকি দ্রুত কমবে।
নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার
শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার রাখা খুশকি কমানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুশকির জন্য বিশেষ শ্যাম্পু বেছে নিন এবং নিয়মিত ব্যবহার করুন।
যোগব্যায়াম ও স্ট্রেস কমানো
স্ট্রেস খুশকির অন্যতম কারণ। নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খুশকি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে ত্বক ও চুল উভয়ই সুস্থ থাকবে।
সবশেষে:
খুশকি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হলেও সঠিক পরিচর্যা এবং উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে চললে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
উপরের ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সুত্র: Right News BD