কোন সিসি ক্যামেরা ভালো

আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করব আর সেই টপিকটি হচ্ছে সিসি ক্যামেরা নিয়ে। অর্থাৎ অনেকে প্রশ্ন করেন বাসায়, অফিসে অথবা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন সিসি ক্যামেরা লাগালে ভালো হবে। এছাড়াও আরো অনেকে জানতে চায় কোন ক্যামেরা লাগাবো ওয়ারলেস ক্যামেরা নাকি ডিভিআর ক্যামেরা।

সেজন্য প্রথমে ওয়ারলেস আইপি ক্যামেরার সুবিধাগুলো দেখে নিন। তারপরে জেনে নিন ডিভিআর এইচডি সিসি ক্যামেরা সেটিং করার সুবিধা কি এবং অসুবিধা কি। সেক্ষেত্রে প্রথমে জেনে নিন আইপি ক্যামেরার সুবিধাগুলো।

ডাহুয়া ক্যামেরা রেঞ্জার টু

ডাহুয়া ক্যামেরা রেঞ্জার টু এর সুবিধা সহ যে কোন একটি হিকভিশন ক্যামেরা বা একটি ওয়ারলেস আইপি ক্যামেরা নিতে পারেন। তবে এখন জেনে নিন এগুলো ক্যামেরার সুবিধাগুলো। এই ক্যামেরাগুলো যখন লাগানো হয় যাতে সেখানে ৩৬০ ডিগ্রী মুভিং করতে পারে মোবাইলে ব্যবহারের মাধ্যমে। ক্যামেরা লেন্সটি সঠিকভাবে এদিক সেদিক ঘুরতে পারে। এছাড়াও যদি আপনার বাসা বা প্রতিষ্ঠানের যে কোন এক দিকে মুখ করে লাগিয়ে কোথাও চলে যান। ধরুন-

আপনি বাসায় অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাগিয়ে গ্রামে চলে গেছেন সেক্ষেত্রে গ্রামেও মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সেখান থেকেও প্লান করতে পারেন। ওই যে ক্যমেরা যেদিকে লাগানো হয়েছে কিন্তু সেদিক ঘুরে অন্য দিকে নিয়ে যাবেন সেটা কিন্তু খুব সহজেই করতে পরবেন। মোবাইল স্ক্রীণে প্রেস করে ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রী পর্যন্ত সেখান থেকে এরকম সুবিধা নিতে পারবেন।

দ্বিতীয় সুবিধা ভয়েস কন্ট্রোল সুবিধার জন্য, আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনার গ্রামের বাড়ির যেকোন জায়গা থেকে মোবাইলের সামনে দাড়িয়ে থেকে কথা বলবেন। সেক্ষেত্রে কোন সঠিক নির্দেশনা দিবেন, ঠিক সেই ভয়েসটা ক্যামেরা থেকে আউটপুটে আসবে| অর্থাৎ আপনার বাসায় গিয়েও ক্যামেরার সামনে গিয়ে অনেকে দাড়িয়ে আছে তারাও সেই ভয়েসটা শুনতে পারবে। এমতবস্থায় যদি ওখান থেকে কেউ প্রয়োজনীয় কথা বলে আপনিও কিন্তু সে কথার উত্তর মোবাইল থেকে শুনতে পাবেন। আর এটাকেই বলে ভয়েস কন্ট্রোলের সুবিধা।

সিসি ক্যামেরা প্যাকেজ

সিসি ক্যামেরা প্যাকেজ

এছাড়াও আর একটি সুবিধা হচ্ছে যে আপনার নির্ধারিত বাজেটের যে ব্যাপারটা রয়েছে একদম কম বাজেটের মধ্যে। এই ক্যামেরাগুলো সাধারণত ২৮০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকায় শুরু হয় এবং ৩৪০০-৩৫০০ থেকে ৪০০০ কিংবা ৫০০০ টাকার মধ্যে এসব ক্যামেরা কিনতে পারবেন। এছাড়াও এ ধরণের সিসি ক্যামেরা প্যাকেজ বিভিন্ন বাজেটের মধ্যেও হয়। সে জন্য কেনার সময় অবশ্যই দাম করে কিনবেন। 

তবে অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকে আছেন ১৪০০-১৫০০ টাকা দিয়ে আইপি ক্যামেরা কিনে ব্যবহার করছেন। এসব আইপি ক্যামেরাগুলো না কেনাটাই ভালো, কারণ এসব ক্যামেরা বিভিন্ন ধরণের সমস্যা করে। তাছাড়াও এসব ক্যামেরা চলতে চলতে ছেড়ে দেয়।

তারপর দেখা যায় যে ঐ ধরনের ক্যামেরা যারা কিনছে তারা পরবর্তী সময়ে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে অনিহা প্রকাশ করে। সে জন্য ক্যামেরা যদি ব্যবহার করতেই হয় সেক্ষেত্রে উপরে থাকা বাজেটের মধ্যে ব্র্যান্ডের ক্যামেরা যেমন, হিকভিশন ক্যামেরা, রেঞ্জার টু আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন।

হার্ডডিক্স

হার্ডডিক্স

এছাড়াও আর একটি ব্যাপার হচ্ছে এগুলো আইপি ক্যামেরাতে বেশি টাকা দিয়ে বড় ধরণের হার্ডডিক্স কিনতে হয় না। আপনার মোবাইলে যে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেন সেই মেমোরি কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সঠিক সাজেশন হলো মার্কেট থেকে ক্যামেরার জন্য ব্র্যান্ডের মেমোরি কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। সেই জাতীয় ব্র্যান্ডের মেমোরি কার্ড ক্যামেরার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো মেমোরি কার্ড সেটিং করে ব্যবহার করলে সিসি ক্যামেরা গরম কম হবে।

এসব আইপি ক্যামেরা প্রাইস একটু বেশি হলেও অনেক ভালো। তার মানে এই নয় যে এই ধরনের মেমোরি সহ ক্যামেরার বাজেট ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা মধ্যে হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় আরো কম বাজেটের মধ্যেও পাওয়া যায়। তবে আপনি চেষ্টা করবেন যাতে খুব কম বাজেটের ক্যামেরা না কেনার সেক্ষেত্রে দেখা যাবে এসব ক্যামেরার সাপোর্ট খুব একটা ভাল পাবেন না।

ডিভিআর কি

ডিভিআর কি

এখব জানাবো ডিভিআর এর ক্ষেত্রে আসলে কি রকম সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। ডিভিআর এর প্রথম সুবিধাগুলো হচ্ছে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা ক্যামেরাগুলো ইচ্ছেমত কাস্টমাইজ করতে পারেন । যেমন আপনি যদি মনে করেন যে এখানে ৪টি ক্যামেরা দিয়ে সেটিং করবেন বা ১-২টি ক্যামেরা দিয়ে সেটিং করবেন অথবা ৮টি ক্যামেরা বা ১৬-৩২টি ক্যামেরা সহ পরিমাণ অনুযায়ী ক্যামেরা দিয়েও সেটিং করতে পারবেন।

সে জন্য দেখা যাবে বাজেটেও বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। তবে ইচ্ছে করলেও ৬-৭ হাজার টাকার মধ্যে পারবেন কিংবা ১২-২০ হাজার টাকার মধ্যে করতে পারবেন। এখানে আরো একটি সুবিধার ব্যাপার হচ্ছে ক্যামেরাগুলো কমবেশি করতে পারবেন।

এখানে ক্যামেরা প্রাইসগুলো কম বেশি করতে পারবেন। যেমন ধরুন নাইট ভিশন সিসি ক্যামেরা টু মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরা রাতের সময় ব্লাক এন্ড হোয়াইট রাতের অন্ধকারে সাদা-কালো ভিউ হবে। তবে একটু বেশি বাজেটের মধ্যে নিলে রাতের বেলাও কালার ভিউ হবে।

সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বাজেট কমাতে পারেন। যদি অডিও ভয়েস সাপের্ট না করান, তার জন্য লো প্রাইসের ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ ৫টি ক্যামেরা লাগাবে সেই ক্ষেত্রে ৪টি ভালো ক্যামেরা লাগাবে আর ১টি কম প্রাইসের ক্যামেরা সেটিং করে করতে পারবে। এছাড়াও এই ডিভিআরের মাধ্যমে কোন ক্যামেরা কাছে বা কোন ক্যামেরা ১০০ গজ দূরে নিয়ে গেলেও ভিডিও কোয়ালিটি একই পিক্সেল সাপোর্ট পাবেন।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali