আফ্রিকার ৬ দেশকে বিনামূল্যে খাদ্য পাঠাবে ভ্লাদিমির পুতিন

রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন। তিনি আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে আফ্রিকার ৬ দেশকে বিনামূল্যে খাদ্য পাঠাতে সক্ষম হবে।

সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত হওয়া রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন এই প্রতিশ্রুতি দেন।

আফ্রিকার ৬ দেশকে বিনামূল্যে খাদ্য পাঠাবে ভ্লাদিমির পুতিন

আফ্রিকার যে ৬ দেশকে খাদ্য পাঠাবে পুতিন

আফ্রিকার ছয়টি দেশগুলি হল, বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকা ও ইরিত্রিয়া। প্রতিটি দেশকে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য দিয়ে সাহায্য করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া তিনি খাদ্যশস্য পরিবহনের যাবতীয় খরচ মস্কো বহন করবে বলেও জানান।

কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির চুক্তি বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে পুতিন এ ঘোষণা দেন।

যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন খাদ্যশস্য চুক্তির আওতায় নিরাপদে শস্য রপ্তানির সুযোগ পেয়েছিল।

জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন এর চুক্তিটি দরিদ্র দেশগুলিকে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে রক্ষা করতে একটি মানবিক প্রচেষ্টায় বিবেচিত হয়েছিল।

যাইহোক, চুক্তিটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় এবং মস্কো চুক্তিটি বাতিল করে।

আফ্রিকার ৬ দেশকে বিনামূল্যে খাদ্য পাঠাবে ভ্লাদিমির পুতিন

ভ্লাদিমির পুতিন এদিন বলেন,

তিনি রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পশ্চিমা দেশগুলিকে রাজি করাতে তার জাতিসংঘের অঙ্গীকারে ব্যর্থ হয়েছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা দরিদ্র দেশগুলোকে সার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি তাদের প্রয়োজন অনুসারে।

সেখানেও তারা (পশ্চিম) বাধা দিয়েছে। আমরা ইউরোপীয় বন্দরে অবরুদ্ধ দুই লাখ ৬২ হাজার টন সারের ভিতর মাত্র দুটি লট পাঠাতে সক্ষম হয়েছি।

এগুলোর মধ্যে বিশ হাজার টন মালাউইতে এবং ৩৪ হাজার টন কেনিয়ায়। আর বাকিটা এখনো পর্যন্ত ইউরোপিয়ানদের হাতে।

এছাড়াও পুতিন আরও দাবি করেছেন যে পশ্চিমা নেতারা বিশ্ববাজারে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করছে। অথচ তারাই রাশিয়ার রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে।

তিনি যোগ করেছেন যে পশ্চিমা-আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, রাশিয়া বাণিজ্যিক এবং মানবিক উভয় দিকেই আফ্রিকায় সরবরাহ বাড়াচ্ছে।

পুতিন রাশিয়া-আফ্রিকা অর্থনৈতিক ও মানবিক ফোরামের অধিবেশনে বক্তৃতা করেছিলেন, যেখানে প্রায় চল্লিশ টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তবে ক্রেমলিন বলেছে যে পশ্চিমা চাপকে স্বীকার না করে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেন্ট পিটার্সবার্গে একত্রিত হয়েছেন।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali